আমতলী প্রতিনিধি॥ বরিশাল থেকে এম্বুলেন্স যোগে ছেলে আলম হাওলাদারের লাশ আনতে গিয়ে মোটরসাইকেল ও এ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষে লাশ হয়ে ফিরলেন মা পুস্প বেগম (৬৫)।
এঘটনায় মোটরসাইকেল চালক রুবেল সিকদার (৩২) ও নিহত হয়েছে। মাকসুদা ও মনিরুল ইসলাম নামে ২ জন আহত হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে আমতলী- পটুয়াখালী মহাসড়কের ডাক্তার বাড়ী নামক স্থানে রবিবার সকাল সাড়ে ৬টায়।
খবর পেয়ে আমতলী থানা পুলিশ তিনটি মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। জানাগেছে, কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের গন্ডামারি গ্রামের আলম হাওলাদার (৪৫) দীর্ঘদিনধরে লিভার সিরোসিস রোগে ভুগছিলেন।
শনিবার রাতে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা মারা যান। ছেলে আলম হাওলাদারের লাশ নিয়ে মা পুস্প বেগম (৬৫) ও আলম হাওলাদারের স্ত্রী মাসুদা বেগম রবিবার সকালে এমম্বুলেন্স যোগে গ্রামের বাড়ী গন্ডামারি যাচ্ছিল।
পথিমধ্যে আমতলী-পটুয়াখালী মহাসড়কের ডাক্তার বাড়ী নামক স্থানে বিপরীত দিক থেকে আসা মোটর সাইকেলের সঙ্গে এম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
এতে লাশবাহী এ্যাম্বুলেন্সটি খাদে পরে যায় এবং মোটর সাইকেল দুমড়ে-মুড়চে যায়। ঘটনাস্থলে মোটর সাইকেল চালক রুবেল সিকদার নিহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ও দমকল বাহিনীর লোকজন খাদে পরা এ্যাম্বুলেন্স থেকে মৃত্যু ছেলে আলম হাওলাদার ও মা পুস্প বেগমের লাশ উদ্ধার করে।
তিনটি লাশকে পুলিশ উদ্ধার করে থানায় এনেছে। নিহত মোটর সাইকেল চালক রুবেল সিকাদারের বাড়ী আমতলী উপজেলার আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের চাউলা গ্রামে।
তার বাবার নাম আনসার সিকদার। এঘনায় আলম হাওলাদারের স্ত্রী মাকসুদা বেগম (৩৫) ও মটরসাইকেলের যাত্রী মনিরুল ইসলাম (৪০) আহত হয়েছে। নিহত পুস্প বেগমের নাতি মো. ওমর ফারুক জানান, আমার বাবা আলম হাওলাদার লিভার সিরোসিস রোগে আক্রান্ত হয়ে শনিবার রাতে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে মারা যায়।
আমার বাবার লাশ আমার দাদি পুস্প বেগম নিয়ে বাড়ী ফিরছিল। পথিমধ্যে মোটর সাইকেল ও লাশবাহী এ্যাম্বুলেন্স মুখোমুখি সংষর্ঘে আমার দাদি মারা গেছে।
তিনি আরো বলেন, এঘটনায় আমার মা মাকসুদা বেগমও আহত হয়ে আমতলী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। নিহত মোটর সাইকেল চালক রুবেল সিকদারের স্বজন নাশির উদ্দিন নশা মৃধা বলেন, আমতলী থেকে বাড়ী যাওয়ার পথে এ্যাম্বুলেন্স ও মোটর সাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে রুবেল নিহত হয়েছে।
আমতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত দুজনসহ ৩ জনের লাশ উদ্ধার করে আনা হয়েছে। আইনী প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।