বিডি ক্রাইম ডেস্ক, বরিশাল॥ মাসব্যাপী অমর একুশে বইমেলার পেরিয়ে গেছে অর্ধেকটা। মেলার শুরুতে বেচাকেনা জমে না উঠলেও ১৪ ফেব্রুয়ারি ফাগুনের রং আর ভালোবাসা দিবস উদযাপনের ঢেউ লেগেছে মেলায়।
এছাড়া আজ শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় মেলায় বইপ্রেমীদের উল্লেখযোগ্য ভিড় চোখে পড়ছে। বেড়েছে বিক্রিও। শুক্রবার বইমেলার ১৬তম দিনে মেলা প্রাঙ্গণে পাঠকের আনাগোনা ও বই বিক্রির হার চক্রবৃদ্ধি হারে বাড়তে থাকায় আশাবাদী বেশিরভাগ প্রকাশনী। মেলা ঘুরে দেখা যায়, পাঠক-দর্শনার্থী ও ক্রেতাদের ভিড় স্টলে স্টলে। অন্যান্য দিনের চেয়ে বেচাকেনাও বেড়েছে। পছন্দের বই হাতে ঘরে ফিরেছেন অনেকেই। প্রকাশকরা বলছেন, প্রথম দিকের তুলনায় তাদের বিক্রি বেড়েছে কয়েক গুণ।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদ সাদেক বলেন, আমি এবার মেলায় চতুর্থবারের মতো এলাম। বইপ্রেমী বলেই মেলায় এসে আনন্দ পাচ্ছি, ভালো লাগছে। স্টলগুলোর বিক্রয়কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শুরু থেকেই স্টলগুলো প্রাণহীন ছিল। পাঠক সমাগম না থাকায় অলস সময় কাটাতে হয় তাদের। ১৪ ফেব্রুয়ারির পর থেকে তাদের ব্যস্ততা বাড়তে শুরু করেছে। এবারের মেলায় ৬৩৫টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৯৩৭টি ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এর মধ্যে একাডেমি প্রাঙ্গণে ১২০টি প্রতিষ্ঠানকে ১৭৩টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৫১৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৬৪টি ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মেলায় ৩৭টি (একাডেমি প্রাঙ্গণে একটি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৩৬টি) প্যাভিলিয়ন রয়েছে। এবার লিটল ম্যাগাজিন চত্বর স্থানান্তরিত হয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উন্মুক্ত মঞ্চের কাছাকাছি গাছতলায়। সেখানে প্রায় ১৭০টি লিটলম্যাগকে স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।