• ১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ৮ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

আলোর মুখ দেখছে জাতির জনকের সেই স্বপ্ন অবশেষে মনপুরায় বাস্তাবায়ন হচ্ছে বঙ্গবন্ধু

চিন্তানিবাস কেন্দ্রিক পর্যটন কেন্দ্র স্থান পরিদর্শন করলেন পর্যটন সচিবসহ একটি টিম

বিডিক্রাইম
প্রকাশিত মে ২, ২০২৪, ১৭:২৭ অপরাহ্ণ
চিন্তানিবাস কেন্দ্রিক পর্যটন কেন্দ্র স্থান পরিদর্শন করলেন পর্যটন সচিবসহ একটি টিম

মনপুরা (ভোলা) প্রতিনিধি ॥ ভোলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলায় অবশেষে বাস্তবায়ন হচ্ছে বঙ্গবন্ধু চিন্তনিবাস কেন্দ্রিক পর্যটন কেন্দ্র। জাতির জনকের সেই স্বপ্ন অনেকদিন পর আলোর মুখ দেখায় দ্বীপের বাসিন্দাদের মধ্যে উৎসাহ- উদ্দীপনা পরিলক্ষিত হতে দেখা গেছে। তবে বাসিন্দারা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবী করেন। বৃহম্পতিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় বঙ্গবন্ধুর চিন্তানিবাস স্থাপনের স্থান পরিদর্শন করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোকাম্মেল হোসেন মিয়া, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড প্রধান নির্বাহী (সিও) আবু তাহের মোহাম্মদ জাবের, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড প্রধান নির্বাহী (সিও) মোঃ নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সুজন, বাংলাদেশ প্রধান নির্বাহী (আর্কিটেক) স্থপতি মঞ্জুর কাদের।

পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোকাম্মেল হোসেন। এই সময় সচিব বলেন, উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের ভূঁইয়ারহাট সংলগ্ন ব্রিজের পাশের স্থানটি মনোরোম পরিবেশ রয়েছে, সেখানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সেই চিন্তানিবাস কেন্দ্রিক পর্যটন কেন্দ্র বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহন করেছে পর্যটন মন্ত্রণালয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের জানান, বঙ্গবন্ধু চিন্তানিবাস কেন্দ্রিক পর্যটন কেন্দ্র স্থাপিত হলে বিচ্ছিন্ন এই দ্বীপের মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নের পথ সুগম হবে। এছাড়াও দ্বীপটি ইতিহাস-ঐতিহ্যে স্থান পাবে। তাই তারা দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য দাবী করেন। এই সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মনপুরা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেলিনা আকতার চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জহিরুল ইসলাম, থানা ভারপাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ জহিরুল ইসলাম, হাজির হাট ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ নিজামউদ্দিন হাওলাদার, আলেম সমাজের প্রতিনিধি মাও. মোঃ শিহাব উদ্দিন, স্থানীয় সাংবাদিক সহ অন্যান্যরা।

উল্লেখ্য, ১৯৭০ সালে বণ্যার পর ত্রান দিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মনপুরায় আসলে দ্বীপটির প্রাকৃতিক সৌন্দের্যে বিমোহিত হন। তখন তিনি চিন্তানিবাস স্থাপনে আগ্রহী হন। পরে দেশ স্বাধীন হলে চিন্তানিবাসের কাজ শুরু হয়। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু সহ পরিবারের সদস্যদের হত্যার পর আর বাস্তবায়ন হয়নি চিন্তানিবাসটি। পরে স্থানীয় সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব স্থানীয় সাংবাদিকদের রির্পোটের ভিত্তিতে জাতীয় সংসদে উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র নজরে আনেন। পরে এটি বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহন করা হয়।