• ১৪ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৩০শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ২১শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

চিকিৎসকহীন প্রাণিসম্পদ দপ্তরে কর্মচারীদের রামরজত্ব

admin
প্রকাশিত নভেম্বর ১৮, ২০১৭, ১৮:৫৮ অপরাহ্ণ
চিকিৎসকহীন প্রাণিসম্পদ দপ্তরে কর্মচারীদের রামরজত্ব

এম ফোরকান ॥ সদর উপজেলা প্রাণি সম্পদ দপ্তরে চিকিৎসা সেবা চলছে অফিস সহায়ক আর ড্রেসার দিয়ে। ফরে কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত প্রত্যাশীরা বরং সরকারি নিয়মনীতি ভেস্তে গিয়ে চলছে প্রতারণা মূলক কার্যক্রম। হয়রানী হাওয়ার পাশাপাশি আর্থিক ক্ষতির স্বীকার হচ্ছেন ভূক্তভোগীরা। তথ্য মতে, সদর উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা দীর্ঘ ৬ মাসের জন্য প্রশিক্ষণ উপলক্ষে অন্যত্র রয়েছেন। এ সুযোগে অফিস সহায়ক এবং ড্রেসার সহ অন্যান্য কর্মচারীরা গড়ে তুলেছে রামরাজত্ব। সূত্র জানায়, নগরীতে অবস্থিত গুরুত্বপূর্ন এই দপ্তরটিতে প্রতিদিন হাঁস মুরগী ছাগল গরুসহ বিভিন্ন প্রাণির স্বাস্থ্য সেবা নিতে শতাধিক লোকের সমাগম ঘটে। তখন চিকিৎসকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয় অফিস সহায়ক এবং ড্রেসার। অসাধু এ সকল কর্মচারীর অবহেলায় এবং অর্থ লোভে হয়রানীর শিকার হতে হচ্ছে আগন্তুক দের। নিয়ামনুযায়ী জন্মের পর থেকে ১৫ বছর বয়স পর্যন্ত সকল প্রকার প্রাণির রোগ প্রতিরোধ টিকা এবং স্বাস্থ্য সেবা বিনামূল্যে প্রদান করবে। কিন্তু বাস্তবে তা হচ্ছে না। ভ্যাকসিন প্রদানের বিপরীতে নেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন অংকের টাকা। নেওয়া হচ্ছে মনগড়া ড্রেসিং চার্জ। সূত্র জানায়, কোনো প্রকার ভ্যাকসিন সংকট নেই, তবু সদর উপজেলার ওই দপ্তরে রয়েছৈ ভ্যাকসিনের তীব্র কৃত্রিম সংকট। ডাক প্লেগের ভ্যাকসিন’র অ্যাম্পুল চাইলে প্রথমেই উত্তর আসে নেই। কিন্তু একটু গোপনে নিয়ে চুপি চুপি বলা হয় ২/১টি রয়েছে। ২০০ বা ৩০০ টাকা দিলে গোপনে দিতে পারেন। নিরুপায় সেবা প্রত্যাশীরা বাধ্য হয়ে ৩০ টাকার ভ্যাকসিন ৩০০ টাকায় কিনে নেন। এদিকে সূত্র আরো জানায়, সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৩ টা পর্যন্ত টিকাদান কেন্দ্র চালু রাখার নিয়ম। অথচ বাস্তবে দুপুর ১টা বাজতে না বাজতেই বন্ধ হয়ে যায় টিকাদান কেন্দ্রের কার্যক্রম। ফরে বহুদূর থেকে সেবা নিতে এসেও নিরাশ হয়ে ফিরতে হচ্ছে অনেক কে। এ বিষয়ে বরিশাল সিভিল সার্জন ডাঃ মনোয়ার হোসেন’র মোবাইলে ফোন দেওয়া হলে তিনি রিসিভ করেন নি। তবে জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা একরামুল করিম চৌধুরী জানান, রাণীক্ষেত, ডাকপ্লেগ সহ কোনো প্রকার ভ্যাকসিনেরই সংকট নেই।