• ৭ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২২শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ১৫ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

চরফ্যাশন বখাটে যুবকের উৎপাতে প্রবাসী পরিবার দিশেহারা

বিডিক্রাইম
প্রকাশিত জুলাই ৭, ২০২৪, ২০:৪০ অপরাহ্ণ
চরফ্যাশন বখাটে যুবকের উৎপাতে প্রবাসী পরিবার দিশেহারা

চরফ্যাশন প্রতিনিধি॥ চরফ্যাশন উপজেলার আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়েনের ৫নং ওয়ার্ডে বখাটে যুবকের উৎপাতে প্রবাসী পরিবার দিশেহারা হয়েছে পড়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

স্থানীয় সূত্র জানা গেছে, উপজেলার আব্দুল্লাপুর ৫ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আব্দুস সাত্তার মিয়ার পৌরসভা ৫ নং ওয়ার্ডে বিআরডিবি সংলগ্ন পৌরসভার উক্ত বাড়িতে ঘর নির্মাণের পরিকল্পনা হচ্ছে।

এই মুহুত্বে বখাটের সংবদ্ধ গ্রুপ নেতা ইলিয়াছগংরা ২০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন আঃ ছাত্তারের কাছে। চাঁদা দিতে না পারলে পাঁচ শতাংশ জমি দাবি করেন।

মৃত জলিলের পুত্র ইলিয়াছ এখন বেপরোয়া হয়ে পড়েছে। চাঁদার বিষয়ে আঃ ছাত্তারের জামাতা প্রবাসী আবু সুফিয়ান অস্বীকার করলেও তাকে মোবাইল ফোনে পঙ্গু করে দেয়ার হুমকী দেয়া হয়।

বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে আব্দুল্লাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ফজলু মাস্টারের ছেলে জুয়েল রাঢ়ী ঢাকা থেকে লঞ্চে চলে আসেন চরফ্যাশনে।

সেই রাত্রে তিনি বাড়িতে না গিয়ে চরফ্যাশন একটি আবাসিক হোটেলে রাত যাপন করেন। পর দিন এটি পয়ছালার নাম করে আব্দুস সাত্তার মেয়েকে শিবার হাটের যাওয়ার পথিমধ্যে বিভিন্ন প্রকার হুমকি ধামকি এবং ভয়-ভীতি দেখিয়ে আব্দুস সাত্তার মিয়ার থেকে ৬ লক্ষ টাকা দেওয়া স্বীকারোক্তি করান।

জুয়েলকে ছাত্তারের পরিবারের পক্ষ থেকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, সাবেক এমপি নাজিমুদ্দিন আলম বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য আমাকে অনুরোধ করেছেন তাই আমি দ্রুত ঢাকা থেকে চরফ্যাশনে চলে আসছি।

ঘটনাটি এলাকা ব্যাপক চাঞ্চল সৃষ্টি হলে মোবাইলে মেসেঞ্জারে ইলিয়াসকে জিজ্ঞাসাবাদ করে উক্ত ঘটনা প্রতিবাদ জানালে সুফিয়ান পাটওয়ারী এবং তার পরিবারকে হত্যা নির্যাতন এবং হয়রানির হুমকি প্রদর্শন করেন।

তার অপকর্মের ফলে পারিবারিকভাবে দ্রুত তাকে বিয়ে করিয়ে দেওয়া হয়। বখাটে উৎপাত কমেনি নিজেকে কখনো রেমিটেন্স যুদ্ধা পরিবারের সদস্য দাবি করেন।

বিদেশ লোক পাঠানোর নামে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে টাকা আত্মসাৎ করারও অভিযোগ রয়েছে। যার ভুক্তভোগী তার আপন চাচাতো ভাই মনির হোসেন এবং সমীর হোসেন এবং এবং তার আপন ভাই হাবিবরাদেরও অভিযোগ গত দুবছর যাবৎ বিদেশের মাটিতে আমি বহু সমস্যা ভোগ করছি।

বাংলাদেশেও ফেরত যেতে পারিনা। হাবিবেও তার ভাই ইলিয়াস কাছে প্রতারণা স্বীকার হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। উক্ত বখাটের উৎপাত থেকে এলাকায় মানুষকে বাঁচানোর জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও জাতীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ভূক্তভোগি পরিবার।

এই ব্যপারে ইলিয়াছ বলেন, আঃ সাত্তার আমার চাচা। আমরা তার কাছ থেকে ৬লাখ টাকা পাব। বৃহম্পতিবার আবার স্থানীয় চেয়ারম্যান প্রিন্স ১৫লাখ টাকা রায় দিয়েছেন। নচেৎ পৌরসভা থেকে ৫শতাংশ জমি দেয়ার রায় করা হয়েছে।

আবু সুফিয়ানকে আমি হুমকী দেয়নি। তার কাগজপত্র আমি সৌদিতে ঠিক করে দিয়েছি। সে ভাত খায়তে পারিনি। আমার বাসায় গিয়ে উঠছে।

আমি চাকুরী নিয়ে দিয়েছি। পূর্বে বোন জামাই হিসাবে কিছু বলিনি। সামনের দিকে বলব। জুয়েল মুঠোফোনে বলেন, আমি ব্যস্ত আছি পরে আপনাকে বলবো।