আমির হোসেন চরফ্যাশন॥ ঘূর্ণিঝড় দানা আঘাতে প্রবল বৃষ্টিতে ও জোয়ারের পানির উচ্চতা বেড়ে প্লাবিত হচ্ছে নিম্নাঞ্চল। বৃহম্পতিবার দুপুরে ঘূর্ণিঝড় দানার জোয়ারের পানি স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় অন্তত চার ফুট বেড়েছে বলে জানান স্থানীয় নদীর তীরের বাসিন্দারা।
এদিকে ঘূর্ণিঝড়রে প্রভাবে চরফ্যাশনে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত আকাশ কালো মেঘে রূপ নিয়েছে এবং প্রচন্ড ঝড়ো হাওয়া বইছে।
এতে আবহাওয়া ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েগছেন উপকূলের কয়েক হাজার বাসিন্দা। বিছিন্ন দ্বীপ ঢালচর, কুকরীমুকরি, মজিবনগর, বেতুয়ার মেঘনার পাড় ও তেতুয়ানদী এলাকায় বেড়ীঁর নিচ এলাকার ঘরবাড়ী পনিতে ডুবে গেছে। এ বিষয়ে চরফ্যাশন পানি উন্নয়ন বোর্ড ডিভিশন-২ এর মিজানুর রহমান বলেন, ডানার আঘাতে বৃষ্টি ও জোয়ারের পানি একাকার হয়ে রাস্তাঘাট ডুবে গেছে। ভেসে গেছে পুকুরের মাছ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নওরীন হক জানান, ঘূর্ণিঝড় ডানার মোকাবিলায় উপকূলীয় ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় আমরা ইতোমধ্যে প্রস্তুত সম্পন্ন করেছি। উপজেলায় ১৫৬টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তত রাখা হয়েছে।
এবং প্রায় ৩০০ এর অধিক স্বেচ্ছাসেবী মোতায়েন করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, ফায়ার সার্ভিস, পল্লী বিদ্যুৎ ও সিভিল ডিফেন্সকে প্রস্তত রাখাসহ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এবং প্রাণসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ২৬টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।
উপকূলীয় মানুষের জন্য বিশুদ্ধ পানি, শুকনো খাবার মজুত রাখা হয়েছে।
এ ছাড়াও স্বেচ্ছাসেবী ও জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে টিম গঠন করে স্থানীয় এলাকায় জনগণকে সচেতন ও সতর্ক থাকতে কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে প্রচার জোরদার করাসহ উপকূলের বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।