আমির হোসেন, চরফ্যাশন ॥ এক লাখ টাকা খরচ করে ৬৫দিনের মাথায় ৪লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করতে পেরে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার কয়েকজন কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।
উপজেলা কৃষি অফিসের উদ্যোগে কৃষক মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে পুরুস্কার দেয়া হয় ওই সকল ফসর কৃষকদেরকে। রমজানের শুরুতে রসালো এ ফল বাজার এবং খেতে বসে পাইকারদের কাছে বেশি দামে বিক্রি করতে পেরে নুরাবাদের কৃষক নুরমোহাম্মদ আহম্মদপুর গ্রামের কৃষক আলাউদ্দিন বলেন, আমাদের ৬৫দিনে তরমুজ পেকেছে।
তরমুজের সাইজ ১৪/১৫ কেজি এবং রং কালারে বাজার কিংবা পাইকারদের কাছে বেশি দামে বিক্রি করতে পেরেছি। এই কৃষক বলেন,বুড়া বয়সে কম্পানির কথানুযায়ী লক্ষাধিক টাকা খরচ করে প্রায় সাড়ে ৪লাখ টাকা তরমুজ বিক্রি করেছি।আমরা এবার লাভবান হয়েছি আগামীতে আরো ৩গুণ জমিতে তরমুজ চাষ করব।
এছাড়াও আহাম্মদপুর ইউনিয়নের তরমুজ চাষী আলাউদ্দিন বলেন, আমি সাড়ে ৪ একর জমি এবছর তরমুজ চাষ করেছি। ৩ থেকে সাড়ে ৩লাখ টাকা খরচ হয়েছে।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকে আশাকরি ১০/১১লাখ টাকা বিক্রি নামবে। গ্রেড ওয়ান, আনন্দ,থাইসহ বিভিন্ন জাতের খেতভরা তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে এবছর। নুরাবাদ কৃষক সালাম বলে, প্রায় ৩লাখ টাকা ব্যয় করে তরমুজ চাষ করেছি। বিক্রি নামবে ৮/৯লাখ টাকা। ফলনের সাইজ ১৫/১৬ কেজি।
ক্রেতা রহিম বলেন, শুরুত্বে ন্যায্য দামে তরমুজ ক্রয় করতে পেরেছি। আশা করি এরপর আর কমদামে কিনতে পারব। রং কালার সাইজে বাজারে এই তরমুজের চাহিদা বেশি থাকে হাইব্রিড জাতের তরমুজ চাষীদের মাঠ দিবসের মাধ্যমে পুরুস্কৃত করা হয়।
নুরাবাদ উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা কামরুজ্জামান শিপন বলেন, সুপার ও গ্রেড ওয়ানসহ বিভিন্ন হাইব্রিড জাতের বীজ বপন করে অল্প সময়ের মধ্যে তরমুজ গ্রেড হয়েছে।
যার ফলে তারা ভালদাম পেতে শুরু করেছে। চরফ্যাশন উপজেলা কৃষি অফিসার নাজমুল হুদা বলেন, ভোলার জেলার মধ্যে তরমুজ চাষের জন্য উপযোগি জায়গা হলো চরফ্যাশনের চরাঞ্চলগুলোতে।
এই উপজেলা লক্ষমাত্র ছিল ১০হাজার ৪০ হেক্টর তা লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে এবছর ১০হাজার ৭৮০ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছে। উপসহকারীদের সার্বিক তদারকিতে বাম্পার ফলন হয়েছে।