• ৬ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২১শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ১৪ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

চরফ্যাশনে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি মামলা হামলায় বিনষ্ট হচ্ছে শিক্ষার পরিবেশ

বিডিক্রাইম
প্রকাশিত জুলাই ১৩, ২০২৪, ১৭:১৭ অপরাহ্ণ
চরফ্যাশনে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি মামলা হামলায় বিনষ্ট হচ্ছে শিক্ষার পরিবেশ

আমির হোসেন চরফ্যাশন॥ চরফ্যাশন উপজেলার ১৮৬নং চরআইচা ৮নং ওয়ার্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকার রিরুদ্ধে দূর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয় ও প্রধান শিক্ষকের দ্বন্দে পাল্টা-পাল্টি মামলা।

এতে শিক্ষার পরিবেশ বিনষ্ট হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানাধীন চরআইচা ৮নং ওয়ার্ড সরকারি প্রাথমিক স্কুল সংলগ্ন আঃ হাকিম মোল্লা বাদী হয়ে চরফ্যাশন সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতে সিআর ৩৫১/২৪ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক(ভারপ্রাপ্ত) রাবেয়া বেগমের বিরুদ্ধে চুরি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

উক্ত মামলাটি আগামী ৪ আগষ্ট/২৪ তারিখে সিআইডিতে তদন্ত করে রিপোর্ট প্রদানের জন্যে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। রাবেয়া বেগমের স্বামী এম এ মন্নান হাওলাদার চরফ্যাশন সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতে সিআর-৩০৭/২৪ অজ্ঞাত আসামীর মামলাটি ডিবিকে আগামী ১৮জুলাই/২৪তদন্ত করে রিপোর্ট দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এ ছাড়াও আবদুল হাকিম মোল্লা স্থানীয় জাতীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও দক্ষিণ আইচা থানা বরাবর পৃথক পৃথক ভাবে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকার রাবেয়া বেগমের দুর্নীতি ও অনিয়মের বিচার দাবী করে আবেদন করেছেন।

তার অভিযোগ উক্ত প্রধান শিক্ষিকা(ভারপ্রাপ্ত) রাবেয়া বেগম ক্ষমাতার দাপট দেখিয়ে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকেন। বিদ্যালয়ের বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাৎ করেন।

বিদ্যালয়ে সোলার প্যানেল ব্যটারী চুরি করেছেন। এই বিষয়ের মামলাটি সিআইডিতে তদন্তাধীন রয়েছে। শিক্ষক হাজিরা খাতা বিদ্যালয়ে থাকেনা তা বাড়ীতে নিয়ে রাখেন।

তার বিরুদ্ধে অভিযোগে কোন অন্তনেই। স্থানীয় অভিভাবক জসিম উদ্দিন বলেন, বিদ্যালয়ে এখন আর শিক্ষার পরিবেশ নেই। স্থানীয় লোকজন, প্রধান শিক্ষক(ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী শিক্ষকের মাঝে দ্বন্দ লেগেই থাকে।

নিয়মিত পাঠদান হচ্ছেনা, শিক্ষকের মধ্যে মামলা হামলায় পাঠদান কার্যক্রমের মনমানসিকতা থাকেনা। ফলে বিদ্যালয়টি সরকারি বিধিমোতাবেক চলছেনা।

এতে লেখা-পড়ার পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে। বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বলেন, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকার স্বামী আঃ মন্নান, ছেলে রাব্বিসহ ৩/৪জনে আমাকে মারধর করেছে। দক্ষিণ আইচা থানার পুলিশ আমাকে উদ্ধার করেছেন।

হত্যার হুমকী দেয়া হয়েছে মর্মে আমি থানায় ও উপজেলা শিক্ষা অফিস বরারব বিচার চেয়ে আবেদন করেছি। এই ব্যপারে রাবেয়া বেগম বলেন, আমার বিদ্যালয় চুরি হয়েছে।

আমার স্বামী আদালতে অজ্ঞাত আসামী করে মামলা দায়ের করেছে। আমি বর্তমানে ছুটিতে আছি, বিদ্যালয়ের ব্যাটারী চুরির সাথে আমি জড়িত নই। আমাকে হয়রানী করা হচ্ছে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তাশেম উদ্দিন বলেন, বিদ্যালয়ে বিষয়ে একাধিক মামলা ও অভিযোগ রয়েছে। যেই বিষয়টি আমাদের আওয়াতধীন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।