চরফ্যাশন প্রতিনিধি ॥
প্রবল বর্ষণ ও পূর্ণিমা আর দক্ষিণ-পূর্ব কোণের একটানা বাতাসের প্রভাবে সৃষ্ট অস্বাভাবিক জোয়ারে পানিতে চরফ্যাশনে উপজেলার বিছিন্ন দ্বীপ ঢালচর ইউনিয়নের ৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ডুবে গেছে রাস্থা-ঘাট, হাটবাজার, স্কুল, মসজিদ-মাদ্রাসা এবং বসতঘর। পানিবন্ধী হয়ে পড়েছে ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ।
রবিবার (৭জুলাই) সকাল ৯ টার পর থেকে প্রবল বর্ষণ ও জোয়ারের পানি বৃদ্ধি হয়।
ঢালচরের স্থানীয় বাসিন্দা ইসমাইল হাওলাদার জানান, প্রতি বছর এই সময়ে জোয়ারের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশী হয়ে থাকে। কিন্তু এবছর দক্ষিণ-পূর্ব কোণের বাতাসের আদ্রতায় স্বাভাবিকের চেয়ে অধিক উচ্চমাত্রার জোয়ারে প্লাবিত হয়েছে ঢালচরের ৫টি গ্রাম। পানির তোপে গ্রামের কাঁচা রাস্তাগুলো ভেসে গেছে। ভেসে গেছে পুকুরের মাছ। ডুবে গেছে ঘরভিটা, ফসলের জমি, হাটবাজার এবং রাস্তা-ঘাট। দক্ষিণ উপকূলের ঢালচর বাগান থেকে শতাধিক গরু-মহিষ জোয়ারের টানে সাগরে ভেসে গেছে।
প্রবল বর্ষা ও জোয়ারের পনিতে ঢালচরের কয়েকটি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের তরফ থেকে জানানো হয়েছে। স্থানীয় ঢালচর ইউপির চেয়ারম্যান আব্দুল সালাম হাওলাদার জানান, একদিকে প্রবল বর্ষা অন্য দিকে জোয়ারে প্লাবিত হওয়ায় বেশ কিছু স্থান ডুবে গেছে। পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। অনেক কাচাঁ ঘর বাড়ী পড়ে গেছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রুহুল আমিন জানান, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকায় প্লাবিত এলাকার খোঁজ খবর নেয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে যোগাযোগের চেষ্টা অব্যহত আছে।
ঢালচরের আবদুর রহিম মাঝি বলেন, ঢালচরের পর্যন্ত সাইক্লোন সেল্টার নেই। ফলে কোন দুর্যোগ বা পানিতে ডুবে গেলে তাদের আশ্রয়ের জন্যে কোন ব্যবস্থা নেই। ফলে ক্ষয় ক্ষতির পরিমান বেশী হয়।
পানি উন্নয়ন বোর্ডে (ডিভিশন-২) নির্বাহী প্রকৌশলী কাইসার আলম জানান, স্বাভাবিকের চেয়ে ৫-৬ ফুট উচ্চতার জোয়ারের ঢাল চরের কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বেঁড়িবাধ না থাকার ফলে উপজেলার ঢালচরের মেঘনা পাড়ের মানুষ চরম ঝুঁকির মধ্যে আছে।