• ১৬ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১লা আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ২৩শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

গৌরনদীতে মোটা অঙ্কের ঘুষ বিনিময়  ৮ জুয়ারিকে ছেড়ে দিলো ওসি

admin
প্রকাশিত জুলাই ৯, ২০১৯, ২১:২১ অপরাহ্ণ
গৌরনদীতে মোটা অঙ্কের ঘুষ বিনিময়  ৮ জুয়ারিকে ছেড়ে দিলো ওসি

গৌরনদী প্রতিনিধি॥ বরিশালের গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম ছরোয়ারের বিরুদ্ধে ঘুষ বানিজ্যের বিনিময়ে ভুয়া পুলিশসহ ডজন খানেক জুয়ারীকে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অনুসন্ধানের মাধ্যমে জানা যায় রাজৈর থানার সিরাজুল মুন্সি দীর্ঘ দিন যাবত টরকী বন্দরে চিরুনি, আয়না, নেইলকাটার, ব্রাশসহ বিভিন্ন মনোহারী পন্য বিক্রি করে আসছেন। টরকী বন্দর পোস্ট অফিসের সামনে এক ব্যক্তি পুলিশ পরিচয়ে সিরাজুল মুন্সির কাছ থেকে প্রায়ই চাঁদা তুলছেন এমন খবর পেয়ে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ জাহাঙ্গীর আলম কনস্টবল নেছার উদ্দিনের মাধ্যমে জিজ্ঞাসা বাদের জন্য ওই ভুয়া পুলিশকে টরকী বন্দর পুলিশ ক্যাম্পে নিয়ে আসেন।

পরে অভিযোগকারী মনোহারী বিক্রেতা সিরাজুল মুন্সি ও টরকী বন্দরে ব্যবসায়ী জিয়াউল ইসলামসহ স্থানীয় লোকজনদের স্বক্ষের ভিত্তিতে তার দোষ প্রামাণিত হলে তাকে গৌরনদী মডেল থানার উপ-পুলিশ পরির্দশক (এসআই) আনিচ এসে ২রা জুন রবিবার সন্ধ্যায় তাকে থানায় নিয়ে যায়। সাথে সাথে স্থানীয় সাংবাদিকরা ভুয়া পুলিশ গ্রেফতারের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুককে ভাইরাল করে দেন। কিন্তু ভুয়া পুলিশ কে থানায় নিয়ে যাওয়া হলেও কোন মামলা রুজু না করেই গভীর রাতে অজানা কারনে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে ওসি গোলাম ছরোয়ার কোন কারন ছাড়াই ভুয়া পুলিশকে ছেড়ে দেন। এ নিয়ে ওই দিন সামাজিক যোগাযোগে ভাইরাল হওয়া ছটিতে পাঠক মন্তব্যে ওসি ছরোয়ারসহ পুলিশের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের প্রতি আপত্তিকর সমালোচনার ঝড় ওঠেছে।

শুধু একটি বা দুটি অভিযোগ নয় ! বরং পাহাড় সমান অভিযোগ রয়েছে এই ওসি গোলাম ছরোয়ারের বিরুদ্ধে। যা ধারাবাহিক প্রতিবেদনে জানাতে হবে আপনাদের। গত কয়েক সপ্তাহ আগের কথা যা জানলে আতকে উঠবেন আপনিও যিনি কিনা জাতির বিবেক, যার হাতে কলম থাকার কথা সমাজে শিক্ষার আলো ছড়ানোর কথা কিন্তু তিনিই হাতে নাতে আটক হলেন জুয়া খেলার সময়। হ্যাঁ বলছি সেই ঈদের পরের দিন জুয়া খেলার টাকা ও সরঞ্জামাদিসহ আটক হওয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও দপ্তরীসহ ৮জন জুয়ারীর কথা গত ৬ জুন (বৃহস্পতিবার) দুপুরে গৌরনদী মডেল থানা পুলিশ মেদাকুল বাজারে জুয়া খেলার সময় একজন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও দপ্তরীসহ ৮ জুয়ারিকে জুয়া খেলার টাকা ও সরঞ্জামাদিসহ আটক করেন কিন্তুু অজ্ঞাত কারণে ৫ ঘন্টা পর মোটা অংকের টাকার বিনিয়ে এসব জুয়ারিদেরও ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া হয়।আটককৃতদেরও ছেড়ে দেয়া হয়।

অবশ্য পুলিশ ঘুষ বানিজ্যর কথা অস্বীকার করেছেন। এলাকাবাসি সুত্রে জানা যায়, উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের মেদাকুল বাজারের আল আমিন সরদারের দোকানের মধ্যে দীর্ঘ দিন যাবত জুয়া আসর বসিয়ে জুয়া খেলে আসছিল স্থানীয় কতিপয় প্রভাবশালীরা। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গৌরনদী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আসাদুল হক খানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ অফিসার নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে মেদাকুল বাজারে অভিযান চালায়। এ সময় আল আমিনের বন্ধ দোকানের মধ্য থেকে জুয়া খোলার লক্ষাধিক টাকা, জুয়া খেলার সরঞ্জামাদিসহ পূর্বসমসিংহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক গোলাম মাওলা সেরনিয়াবাত, পূর্বডুমুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী মোঃ জব্বার, ফিরোজ, লাল মিয়া ওরফে লালো, আল আমিন সরদার, মনির হোসেন, সুমন ও সোবহানকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। একটি সুত্র জানায় মোটা অংকের টাকার বিনিমিয়ে ৫ ঘন্টা পর সন্ধ্যায় তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।

গৌরনদী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আসাদুল হক খান প্রথমে জুয়া খেলার ২৪ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে বলেও পরবর্তীতে অস্বীকার করে বলেন, আটককৃতরা জুয়া না তাস খেলতে ছিল। তাদের কাছ থেকে মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। ভুয়া পুলিশসহ ও ৮ জুয়ারিকে ছেড়ে দেয়ার এই অজানা কারন সম্পর্কে ওসি গোলাম ছরোয়ারের কাছে জানতে চাইলে কোন সদ উত্তর দিতে পারেন নি।