• ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

গোলখালী ইউনিয়নবাসীর স্বপ্ন পূরণে কাওসার তালুকদারের বিকল্প কে?

বিডিক্রাইম
প্রকাশিত নভেম্বর ২৮, ২০২০, ১৫:৩৩ অপরাহ্ণ
গোলখালী ইউনিয়নবাসীর স্বপ্ন পূরণে  কাওসার তালুকদারের বিকল্প কে?

সঞ্জিব দাস, গলাচিপা ॥ পটুয়াখালীর গলাচিপায় আসন্ন গোলখালী ইউপি নির্বাচনে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের মধ্যে জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা এক সময়ের রাজপথ কাঁপানো তুখোর ছাত্রনেতা, ত্যাগী, পোড়খাওয়া, অন্যায়ের প্রতিবাদী কন্ঠস্বর, সময়ের সাহসী নেতা, সাবেক গলাচিপা উপজেলা ছাত্রলীগের সংগ্রামী সভাপতি, বর্তমানে গলাচিপা উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য ও ব্লাক পার্ল হিসেবে খ্যাত মুহাম্মদ কাওসার তালুকদারের বিকল্প চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে এলাকাবাসীর অভিমত।

 

 

এলাকার হাটে-বাজারে ও চায়ের দোকানে জনগণের মাঝে শুধু একটাই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে- গোলখালী ইউনিয়নবাসীর স্বপ্ন পূরণে কাওসার তালুকদারের বিকল্প কে? সাবেক এই ছাত্রনেতা আসন্ন গোলখালী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেলে বিজয় সু-নিশ্চিত বলে এলাকাবাসীর দাবি।

 

 

বিগত দিনসহ গত পাঁচ বছরে এলাকার সাধারণ জনগণের দুঃখ-দুর্দশা ও নানান সমস্যা সমাধানে আপ্রাণ চেষ্টা করে নিঃস্বার্থভাবে তাদের পাশে থেকে জনসেবা করে যাচ্ছেন উদীয়মান সূর্যের ন্যায় তেজস্বি এই তরুন আওয়ামী লীগ নেতা। মানুষের সমস্যা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত কখনো তিনি বাড়ি ফিরেন নি।

 

 

এলাকার যেখানেই সমস্যার কথা শুনেন সেখানেই ছুটে যান তিনি। প্রভাবশালী এই নেতা এলাকায় কখনোই নিজের বংশের আভিজাত্যের গরিমা দেখান নি। বরং তিনি সাধারণ জনগণের সাথে মিশে একাকার হয়ে নিরলসভাবে দলীয় নেতা-কর্মী নিয়ে দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে অনেক জটিল সমস্যার সমাধান করেছেন।

 

 

১৯৮৮ সালে স্বৈরাচার বিরোধী উত্তাল রাজপথের মুজিবের এক লড়াকু সৈনিক হিসেবে তৎকালীন সময়ের নির্লোভ ছাত্র রাজনীতিতে কাওসার তালুকদারের হাতেখড়ি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা, বাঙালীর স্বপ্ন সারথী, বিশ^ মানবতার পথিকৃৎ, মমতাময়ী জননেত্রী, মহিয়সী শেখ হাসিনার নির্দেশিত তৎকালীন সময়ের স্বৈরাচার বিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনসহ মহান স্বাধীনতার মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার সকল পর্যায়ের আন্দোলন সংগ্রামে নিজের যোগ্যতার যথাযথ প্রতিফলন ঘটিয়ে ১৯৯৮ সালের শেষের দিকে গলাচিপা উপজেলা ছাত্রলীগের সংগ্রামী সভাপতি হিসেবে ছাত্র রাজনীতির নেতৃত্বলাভ করেন তিনি।

 

 

উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি হিসেবে তৎকালীন ১৯৯৮-২০০০ সালের প্রায় দুই বছর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং স্থানীয় রাজনৈতিক মহলের সম্মুখে নিজেকে একজন সৎ, দক্ষ ও পরিশ্রমী ছাত্রনেতা হিসেবে উপস্থাপন করতে সক্ষম হন তিনি।

 

 

২০০১ সালে ১ অক্টোবর নির্বাচনে বিএনপি-জামাত জোট সরকার গঠনের পরবর্তী অরাজকতাপূর্ণ রাষ্ট্রীয় পরিস্থিতিতে, সময়ের প্রয়োজনে পুনঃবার উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করে ২০০৪ সাল পর্যন্ত উপজেলা ছাত্রলীগের নেতৃত্বে থাকেন তিনি।

 

 

তৎকালীন সময়ে জোট সরকার কর্তৃক ২১ আগস্টের নৃশংস গ্রেনেড হামলাসহ দেশব্যাপী হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, জঙ্গি উত্থানসহ স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তি নির্মূল- এই সহিংস নীতি বাস্তবায়নে গৃহীত হিংসাত্মক কর্মতৎপরতার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গৃহীত সকল কর্মসূচি সফল করতে রাজপথে সর্বদাই একজন মুজিবের লড়াকু সৈনিকরূপে জোড়ালো ভূমিকা পালন করে যান এই ত্যাগী নেতা।

 

 

২০০২ সালের ৪ জানুয়ারী জোট সরকারের প্রশাসনিক রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে এক আড়ম্বরপূর্ণ আয়োজনে উদযাপন করে থাকলে প্রশাসনিক রোষাণলের শিকার হয়ে প্রায় ডজন খানেক মামলাসহ পুলিশী নির্যাতনের শিকার হতে হয় তাঁকে।

 

 

যদিও বিজ্ঞ আদালত পর্যায়ক্রমে সবকটি মামলায় স্থায়ী জামিন প্রদান করলেও ১৭ জানুয়ারী ২০০১ তারিখ গলাচিপা থানা প্রশাসন বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেফতার দেখিয়ে তাঁকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন এবং সাথে সাথে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস প্রদর্শনপূর্বক তাঁকে ডিটেনশনও প্রদান করেন।

 

 

দীর্ঘ ৮২ দিন কারাভোগ করার পর মহামান্য হাইকোর্ট রিট পিটিশন গ্রহণ করে কারা অন্তরীণ গতে তাঁকে মুক্তি প্রদান করেন। সাবেক এই পরিচ্ছন্ন ও পরিশ্রমী ছাত্রনেতা রাজনৈতিকভাবে শত প্রতিকূলতা মোকাবেলা করেও বর্তমান সময়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের তনয়া, বিশ^ মানবতার অগ্রদূত, জননেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় পরিচালিত চলমান কর্মসূচির মহাযজ্ঞ ত্বরান্বিত করার অগ্রযাত্রায় সদা জাগ্রত এক তরুন, পরিচ্ছন্ন ও পরিশ্রমী নেতৃত্ব, জননেত্রী শেখ হাসিনার এক বিশ^স্ত সিপাহশালার।

 

 

অত্রাঞ্চলের মাটি ও মানুষের অভিভাবক পটুয়াখালী-৩ (দশমিনা-গলাচিপা) আসনের সংসদ সদস্য জননেতা এসএম শাহজাদা এমপির নেতৃত্বে রাজনৈতিক ময়দানে সদা সক্রিয় রয়েছেন তিনি।

 

 

গোলখালী ইউনিয়নবাসী সাবেক এই ছাত্রনেতা কাওসার তালুকদারকে তাঁর রাজনৈতিক পরিধিতে উত্তরোত্তর উত্তরণসহ আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে গোলখালী ইউনিয়ন হতে নৌকার কান্ডারীরূপে মূল্যায়িত হয়ে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ এর প্রার্থী হিসেবে মনোনিত করার জন্য দলের নীতি নির্ধারকের কাছে সবিনয় নিবেদন জানায়।

 

 

নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে কাওসার তালুকদারের জনপ্রিয়তা ততই বেড়ে চলেছে। ইতোমধ্যে তিনি এলাকায় একজন কর্মীবান্ধব নেতা হিসেবে সু-পরিচিতি লাভ করেছেন।

 

 

এলাকায় তাঁর জনপ্রিয়তা এখন আকাশচুম্বী। গোলখালী ইউনিয়নকে একটি মডেল ইউনিয়ন হিসেবে গড়ে তোলা, এলাকার ঘুনেধরা সমাজের আমূল পরিবর্তন সাধিত করা, এলাকার রাস্তা-ঘাট, কালভার্ট-ব্রিজ নির্মানে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত করা এবং এলাকার বিভিন্ন ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ভৌত অবকাঠামোর ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত করাই মূলত তাঁর চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা মূল উদ্দেশ্য।

 

 

এলাকার নির্যাতিত-নিপীড়িত-নিষ্পেষিত মানুষসহ সংখ্যালঘু পরিবারের সকলেই সর্বদা কাওসার তালুকদারের কাছ থেকে সার্বিক সাহায্য সহযোগিতা পাচ্ছেন। তিনি কখনোই কাউকে নিরাশ করেন নি।

 

 

যার ফলশ্রুতিতে সাধারণ জনগণও এবার তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন। এলাকার তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষ বাঁধভাঙ্গা জোয়ারের মত মুক্তি ও বিজয়ের গান গেয়ে কাওসার তালুকদারের দিকেই ছুটছেন।

 

 

আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারকদের কাছে এলাকাবাসীর দাবি- কাওসার তালুকদারকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন দিলে বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে গোলখালী ইউনিয়নবাসীর স্বপ্ন পূরণ করা সম্ভব।

 

অতি দ্রুত এলাকায় এত জনপ্রিয় হওয়ার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে কাওসার তালুকদার সাংবাদিকদের বলেন, ‘রাজনীতির শুরু থেকেই এলাকার মানুষের পাশে থেকেছি। কাছে থেকে তাদের ব্যথা অনুভব করেছি। কারো বিপদে কখনো পাশ কাটিয়ে যাই নি। দলের জন্য কতটা ত্যাগ স্বীকার করেছি সেটা দল বিবেচনা করবে। দলীয় মনোনয়ন পেলে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে দলের কাছে চির ঋণী হয়ে থাকব।