• ১৪ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৩০শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ২১শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

গৃহবধুকে নির্যাতনের অভিযোগ

admin
প্রকাশিত নভেম্বর ১৮, ২০১৭, ১৮:৪৩ অপরাহ্ণ
গৃহবধুকে নির্যাতনের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ শশুর মাদ্রাসা শিক্ষক মোঃ শাহজাহান মাওলানা ও শাশুড়ি মোসাম্মৎ তাহমিনার মারধরে বাড়িছাড়া এক সন্তানের জননী মোসাম্মৎ মুন্নী। চার বছরের একমাত্র সন্তানসহ এখন তার আশ্রয় হয়েছে হাসপাতালে। পাষন্ড স্বামী ইলিয়াসও স্ত্রী ত্যাগের বাবা-মায়ের চাপে এখন গা ঢাকা দিয়েছে। মারধরের ধকলসহ মানসিক বিপর্যস্ত মুন্নী এখন বার বার অচেতন হয়ে পড়ছেন। যেন স্রোতে ভাসা শেওলার মতো ভাসছে। সাতক্ষীরা জেলার দেউড়ি গ্রামের ইফতার আলীর মেয়ে মুন্নীর সঙ্গে মোবাইলে পরিচয় ঘটে কলাপাড়ার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের ফরিদগঞ্জ গ্রামের মাদ্রাসা শিক্ষক শাহজাহান মাওলানার ছেলে ইলিয়াসের সঙ্গে। ওই পরিচয়ের সুত্রে পাঁচ বছর আগে তারা বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়। কিন্তু ইলিয়াসের বাবা-মা এ বিয়ে কোনমতে মেনে নেয়নি। বাধ্য হয়ে তিনটি বছর বাবার বাড়িতে কাটায় মুন্নী। এরপরে ঢাকায় থাকত। তিন মাস আগে স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে তার বাড়িতে ওঠেন। কিন্তু শশুর-শাশুড়ির মারধর নির্যাতনে একটি দিনও স্বস্তি জোটেনি বলে মুন্নীর অভিযোগ। সবশেষ গত বুধবার মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয় মুন্নীকে। সেই সঙ্গে মুন্নীর স্বামী ইলিয়াসকেও বলে দেয়া হয় মুন্নীকে ত্যাগ করতে পারলে বাড়িতে থাকতে পারবে। এরপর পাষন্ড ইলিয়াসও মুন্নীকে সন্তানসহ ফেলে গা ঢাকা দেয়। কিন্তু মুন্নী বরগুনায় গিয়ে খুজে বেড় করলেও ইলিয়াস ফের লাপাত্তা হয়ে যায়। এ ঘটনায় বহুবার সালিশ হয়েছে। কিন্তু সমস্যার সমাধান হয়নি। মুন্নী এরই মধ্যে জীবীকার প্রয়োজনে কলাপাড়া পৌরশহরের পর্যটন সড়কের ঠিকাদার কালাম মৃধার বাড়িতে ঝি এর কাজ নেয়। ওই বাড়ির চারতলায় অবস্থানকালে গতকাল শনিবার সকালে অচেতন হয়ে পড়েন। তাকে দ্রুত কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে মুন্নী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার হিস্ট্রিয়াজনিত রোগ থাকতে পারে বলে চিকিৎসকদের ধারনা। এছাড়া মুখমন্ডলে মারধরের আঘাত রয়েছে। এব্যাপারে মুন্নীর শশুর মাওলানা শাহজাহানকে কয়েক দফা মোবাইল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি। কলাপাড়া থানার এসআই নুরুজ্জামান জানান, তিনি হাসপাতালে গিয়ে ওই গৃহবধুকে দেখে এসেছেন। মামলা করলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। অসহায় মুন্নীর এখন প্রয়োজন নিরাপদ আশ্রয়, আইনি সহায়তা ও চিকিৎসা সহায়তা।