• ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ১৫ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

গণছুটিতে পল্লী বিদ্যুতের কর্মীরা : সেবা বঞ্চিত বরিশালের গ্রাহকরা

বিডিক্রাইম
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৫, ১৭:১২ অপরাহ্ণ
গণছুটিতে পল্লী বিদ্যুতের কর্মীরা : সেবা বঞ্চিত বরিশালের গ্রাহকরা

বিডি ক্রাইম ডেস্ক, বরিশাল॥ চার দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বরিশালের হিজলা উপজেলার পল্লী বিদ্যুৎ সাব জোনাল অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অনির্দিষ্টকালের জন্য গণছুটি পালন করছেন।

সোমবার (৮ সেপ্টম্বর) দুপুরে জানা গেছে, গণছুটির কারণে গত দুইদিন থেকে চরম দুর্ভোগে পরেছেন বিদ্যুত গ্রাহকরা। রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে পল্লী বিদ্যুৎতের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অনির্দিষ্টকালের জন্য গণছুটিতে রয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের চার দফা দাবির মধ্যে রয়েছে-অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত করা যাবেনা এবং বরখাস্তকৃতদের পুর্নবহাল করতে হবে। অব্যবস্থাপনার অবসান। বদলীর নামে হয়রানি বন্ধ করতে হবে। জরুরীভিত্তিত্বে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

সূত্রমতে, হিজলা সাব জোনাল অফিসের আওতাধীন কাউরিয়া, মেমানিয়া ও হিজলা সদর। এ অফিসে মোট ৫৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন। এদের মধ্যে ১৮ জন হলো লাইনম্যান। ১০ জন লাইনম্যান জিএম বরাবর ছুটির ফরম পূরণ করে গণছুটিতে চলে গেছেন। দুইজন প্রশিক্ষণে ও দুইজন কর্মবিরতির আগ থেকেই ছুটিতে রয়েছেন। বাকি চারজনের দুইজনকে অফিসে দেখা গেলেও তারা কাজে অংশগ্রহণ করেননি।

সোমবার দুপুরে পল্লী বিদ্যুৎ সাব জোনাল অফিসে গিয়ে দেখা গেছে, এজিএমসহ কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মবিরতির মতোই অলস সময় পার করছেন। সেবা নিতে আসা গ্রাহকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কারো মিটার নষ্ট, কারো বিদ্যুৎ বিল সংক্রান্ত জটিলতা, আবার অনেকের নতুন সংযোগের কাজ ঝুলে রয়েছে। তারা কোন সেবা না পেয়ে ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।

কাউরিয়া অভিযোগ কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, লাইন টেকনিশিয়ান মো. আবুল বাশার একা বসে আছেন। তিনি বলেন, এখানে ছয়জনের মধ্যে পাঁচ জনই ছুটিতে থাকায় তিনি একা সবকিছু সামাল দিতে পারছেন না। তিনি আরও বলেন, একবার বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে সংযোগ দেয়া অসম্ভব হয়ে যাবে।

গ্রাহক জয়নাল আবেদীন বলেন, তার বাড়িতে গত রাত থেকে বিদ্যুৎ না থাকায় বয়স্ক এবং শিশুরা প্রচন্ড গরমে অসুস্থ হয়ে পরেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের এক কর্মচারী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে নানা অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা চলছে। কিন্তু আমাদের দাবি মানাতো দুরের কথা, উল্টো অন্যায়ভাবে বরখাস্ত, বদলী ও চাকরিচ্যুত করা হচ্ছে। এতে আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তিনি আরও জানিয়েছেন, আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত গণছুটি কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

হিজলা পল্লী বিদ্যুৎ সাব জোনাল অফিসের প্রকৌশলী ফাইজুল ইসলাম বলেন, আমাদের মূল চালিকাশক্তি হচ্ছে লাইনম্যান তারাই অনুপস্থিত। আমরা কোন গ্রাহকদেরকে সেবা দিতে না পাড়ায় কিছু গ্রাহক আমাদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়েছেন।

হিজলা সাব জোনাল অফিসের এজিএম শ্যামল মন্ডল জানান, ১০ জন লাইনম্যান জিএম বরাবর ছুটির ফরম পূরণ করে গণছুটিতে রয়েছেন। এছাড়াও অনেকে কাজে যোগদান করছেন না। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে।