• ৮ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৩শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ১৬ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

কৌশলে সরকারি নিয়মকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ায় দিশেহারা শিক্ষার্থীরা

বিডিক্রাইম
প্রকাশিত মে ১৭, ২০২৪, ১৭:৩১ অপরাহ্ণ
কৌশলে সরকারি নিয়মকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ায় দিশেহারা শিক্ষার্থীরা

আরশাদ মামুন : লালমোহনের কতিপয় স্কুল ও মাদ্রাসায় ৬ষ্ঠ শ্রেনীর রেজিস্ট্রেশন ফি একশত টাকার পরিবর্তে এক হাজার টাকা করে নেওয়ার পাশাপাশি ৯ম শ্রেনীতে এ সংক্রান্ত অর্থ আদায়ের বিধান না থাকলেও রীতিমতো শিক্ষার্থীদের কার্যত জিম্মি করে এক হাজার টাকা করে হাতিয়ে নিচ্ছেন প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টরা। অর্থ আদায়ের এ ধরনের অভিযোগে অন্যতম চরভূতা ইউনিয়নের আলহাজ্ব আ: মোতালেব মিয়া দাখিল মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। সুপার ইব্রাহিম খলিলুল্লাহর অলিখিত নির্দেশে অফিস সহকারী ৬ষ্ঠ শ্রেনীর রেজিস্ট্রেশন ফি ১০০০ টাকা ও ৯ম শ্রেনীর রেজিস্ট্রেশন ফি (১০০০) এক হাজার টাকা করে আদায় করছেন।

যদিও শুরুতে সুপার কিছুই স্বীকার না করলেও তার অফিস সহকারী মহিলা কয়েক জনের নিকট থেকে এক হাজার টাকা করে আদায়ের কথা স্বীকার করেন। অথচ সরকার এখন ও ৯ম শ্রেনীর রেজিস্ট্রেশন ফি আদায়ে সরকারি ভাবে কোন প্রকার নির্দেশনা প্রদান করা হয়নি বলে জানা যায়। ওই মাদ্রাসায় ৭৪ জন ৯ম শ্রেণিতে অধ্যায়নরত থাকলেও প্রায় ৬০ জন থেকে ১ হাজার টাকা করে গত ঈদের আগেই উত্তোলনের তথ্য পাওয়া যাবে। মুলত বাকি শিক্ষার্থীরা তুলনামূলক গরীব অসহায় হওয়ায় চাহিদা অনুযায়ী টাকা না দিতে পারায় বিভিন্ন ভাবে বেকায়দায় ফেলে টাকা হাতিয়ে নিতে মরিয়া সুপার।

এ বিষয়ে মাদ্রাসার সভাপতি আ: হান্নান মিয়ার নিকট জানতে চাইলে তিনি সদুত্তর দিতে পারেননি। অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা একাডেমি সুপারভাইজার মদন বাবুর নিকট জানতে চাইলে তিনিও সঠিক উত্তর প্রদানে ব্যর্থতায় জড়ান। সাধারন শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে এভাবে অর্থ আদায় বন্ধে উপজেলা নির্বাহি অফিসার ও মাননীয় এমপি মহোদয়ের সুদৃষ্টি কামনার করেন ভুক্তভোগীরা।