• ৬ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২১শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ১৪ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

কেন্দ্রে ঢুকতে না পেরে পুলিশকে হুমকি দিয়ে সটকে পড়লেন আ. লীগ নেতা

বিডিক্রাইম
প্রকাশিত জুন ৯, ২০২৪, ১৯:১১ অপরাহ্ণ
কেন্দ্রে ঢুকতে না পেরে পুলিশকে হুমকি দিয়ে সটকে পড়লেন আ. লীগ নেতা

বিডি ক্রাইম ডেস্ক, বরিশাল॥ ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে না দেওয়ায় পটুয়াখালীতে পুলিশ কর্মকর্তাকে শাসানোর অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগের এক নেতার বিরুদ্ধে। এ সময় তিনি আধিপত্য বিস্তারে ওই কর্মকর্তাকে হুমকিও দেন। পরে অন্যান্য পুলিশ ও নির্বাচন কর্মকর্তারা জড়ো হলে সটকে পড়েন ওই নেতা।

ঘটনাটি ঘটে আজ রোববার সদর উপজেলার লোহালিয়া মিয়া বাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে।

অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম মো. ইউসুফ আলী খান, তিনি সদর উপজেলার লোহালিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী অ্যাডভোকেট গোলাম সরোয়ারের সমর্থক।

এর আগে রোববার সকাল ৮টা থেকে বেলা ৪টা পর্যন্তে জেলার সদর, মির্জাগঞ্জ ও দুমকি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ হয়।

বেলা ১টার দিকে সদর উপজেলার মধ্য লোহালিয়া মিয়া বাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আসেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ইউসুফ আলী খান। এ সময় ভোটকেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক মিজানুর রহমান ভোটার কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি ভোটার না, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি।

ভোটার ব্যতীত কাউকে ভেতরে ঢুকতে না দেওয়ার নির্দেশ আছে জানালে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, আমি ২০ বছর আওয়ামী লীগের সভাপতি, টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী থানার ওসি জসিম আমার নিজের শালা (শ্যালক)।

এ সময় তিনি প্রভাবশালী একাধিক কর্মকর্তার পরিচয় দিয়ে প্রভাব বিস্তার করে কেন্দ্রে ঢোকার চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে সাংবাদিকসহ অন্যান্য পুলিশ এবং প্রিজাইডিং অফিসার আসলে তিনি কেটে পরেন।

এ বিষয় জানতে চাইলে ইউসুফ আলী খান বলেন, আমি আসছি তো ভোট দেব না, আমার এজেন্ট আছে, তারা কি অবস্থায় আছে দেখার জন্য। আমি ভেতরেও ঢুকব না।

ওই ভোটকেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক মিজানুর রহমান বলেন, তিনি এই কেন্দ্রের ভোটার নন, তাই তাকে ঢুকতে দিইনি। তবে তিনি আওয়ামী লীগ নেতা ও একাধিক কর্মকর্তার নাম বলে ঢোকার চেষ্টা করেছেন, তখন আমি প্রিসাইডিং অফিসারকে জানালে তিনি চলে যান।