বিডি ক্রাইম ডেস্ক, বরিশাল ॥ পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় নিরাপদ বিষমুক্ত শুঁটকি ভোক্তার কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে দুই দিনব্যাপী শুঁটকির সুপণ্য মেলার আয়োজন করেছে সংগ্রাম নামের একটি বেসরকারি সংস্থা।
শুক্রবার সকালে কুয়াকাটা ট্যুরিজম পার্ক-সংলগ্ন মাঠে এ মেলার উদ্বোধন করেন কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন। মেলায় পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলার আটটি স্টল বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছের শুঁটকি প্রদর্শন করছে।
সংগ্রামের প্রতিষ্ঠাতা চৌধুরী মো. মাসুমের সভাপতিত্বে মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র আনোয়ার হাওলাদার, কুয়াকাটা প্রেস ক্লাবের সভাপতি নাসির উদ্দিন বিপ্লব, ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা (টোয়াক) সভাপতি রুমান ইমতিয়াজ তুষার প্রমুখ।
আয়োজকরা জানান, দক্ষিণাঞ্চলে বিশেষ করে বরগুনা ও পটুয়াখালী জেলায় অনেক বছর ধরে শুঁটকি প্রক্রিয়াজাতকরণ চলে আসছে। তা ছিল অবৈজ্ঞানিক ও অস্বাস্থ্যকর। পরিবেশের ক্ষতির বিষয়গুলো মেনে চলত না। এ ছাড়া মাছের পচন রোধে শুঁটকিচাষিরা শুঁটকিতে ডিডিটি নামক রাসায়নিক পদার্থ প্রয়োগ করতেন। পরিবেশবান্ধব উপায়ে নিরাপদ শুঁটকি উৎপাদনকারী উদ্যোক্তা তৈরি ও উৎপাদন প্রসারের ব্যবস্থার লক্ষ্যে উন্নয়ন সংস্থা সংগ্রাম, পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) ও বিশ্বব্যাংকের আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতায় সাসটেইনেবল এন্টারপ্রাইজ প্রজেক্ট (এসইপি) প্রকল্প নেয়।
কুয়াকাটা শুঁটকি মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহেল মাহমুদ বলেন, আমাদের এখানে সম্পূর্ণ অর্গানিকভাবে লইট্টা, সুরমা, ছুরি, রূপচাঁদা, সুন্দরী, চ্যাপা, চাপিলা, কাচকি, চ্যালা, বাঁশপাতা, মলা, বড় চিংড়ি, ছোট চিংড়ি, পোয়া, টোনা, ফেসা, নোনা ইলিশ, ইলিশের ডিম, কাকিলা, কোরালসহ সামুদ্রিক সব মাছের শুঁটকি প্রক্রিয়াজাত করা হয়; যা এ মেলার মাধ্যমে আমরা ক্রেতাদের কাছে যেতে ও তাদের সচেতন করতে পারলাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, কুয়াকাটায় আগত পর্যটকদের জন্য নিরাপদ শুঁটকি উপহার দেওয়ার জন্য এ মেলা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এ শিল্পকে আরও গতিশীল করতে সরকারের পক্ষ থেকে উদ্যোক্তাদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।