তানজিল জামান জয়, কলাপাড়া প্রতিনিধি।।
কলাপাড়ার কুয়াকাটায় বিএনপি নেতার একটি আবাসিক হোটেলে হামলাকে কেন্দ্র করে মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে বিএনপি ও শ্রমিক দলের দুই গ্রæপ। এ নিয়ে কুয়াকাটায় চলছে পাল্টাপাল্টি মিছিল। তবে কুয়াকাটায় হোটেলে হামলার ঘটনা মিথ্যা ও ষড়যন্ত্র দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছে কুয়াকাটা পৌর শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল জলিল চুকানি।
মঙ্গলবার দুপুরে কলাপাড়া প্রেসক্লাবে ইঞ্জিঃ তৌহীদুর রহমান মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে জলিল চুকানি’র পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কুয়াকাটা পৌর শ্রমিক দলের সহ- সাধারণ সম্পাদক রুমি শরীফ, লিখিত বক্তব্যে জানান, কুয়াকাটা পৌর শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল জলিল চুকানির রিরুদ্ধে কুয়াকাটা পৌর বিএনপির এক নেতার আবাসিক হোটেলে শ্রমিক দলের হামলার ঘটনা সম্পুর্ন মিথ্যা বানোয়াট। উল্টো আমার উপর হামলা চালানো হয়েছে। মারধর করা হয়েছে। আমরা দুর্দিনে বিএনপির জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের রাজনীতি করেছি।
এখন আমাকে রাজনীতি থেকে দূরে সরানোর জন্য নিজের দলের একটি মহলের অপরাজনীতির শিকার হচ্ছি।
তিনি বলেন একটি পক্ষ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। দলকে ক্ষতি করা হচ্ছে। দীর্ঘ ১৬ বছর যারা স্বৈরাচারের তাবেদারি করেছে তারা এখন দলের ত্যাগীদের দলছাড়া করার চেষ্টা করছে। তার দাবি মূলত কুয়াকাটা শ্রমিক দলের হ্যান্ডলিং সেক্টরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য দলের মধ্যে থাকা গুটিকয়েক লোক জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের বিরুদ্ধে এমন ষড়যন্ত্র করছে বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়েছে ।
এসময় কুয়াকাটা পৌর শ্রমিক দলের সভাপতি মানিক ফকির,সিনিয়র সহসভাপতি জসিম উদ্দিন মৃধা, সহ-সভাপতি মোস্তফা হাওলাদার, দুলাল আকন, সহজ সাধারণ সম্পাদক রুমি শরীফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মিরাজ ফকির, দপ্তর সম্পাদক আলামিন সরদার, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রুবেল সিকদার,সদস্য শাহিন গাজী ও মো.হেমায়েতসহ দলের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে কুয়াকাটা পৌর শ্রমিক দলের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দিনে রাতে বিক্ষোভ মিছিল করছে দলের নেতাকর্মীরা। তারা দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে এ ঘটনার ফয়সালার দাবি করেন।
এব্যাপারে কুয়াকাটা পৌর বিএনপির’র সহ-সভাপতি মন্নান চৌধুরি বলেন, কুয়াকাটা শ্রমিক দলের হ্যান্ডলিং কমিটি নিয়ে কাদের মুসল্লী ,সিরু মোল্লা বিরোধ নিয়ে কাদের মুসল্লী বাড়িতে ১২ নভেম্বর জলিল চুকানি মারধর করে। মারধরে সিরু মোল্লা আহত হয়।
এ ঘটনায় পরেরদিন আমার সাগর হোটেলে ফয়সালার জন্য সময় দেয়া হলেও সেখানে জলিল আসেনি। পরে জলিল শ্রমিক দলের লোকজনসহ মিছিল নিয়ে আসলে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাক্কা ধাক্কির ঘটনা ঘটলে পুলিশ এসে সবাইকে সরিয়ে দেয়। তবে এসময় তারা আমার হোটেলে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করেছে।