বিদ্যালয়ে ক্লাস চলছে। কালো ব্লাক বোর্ডে সাদা চকের আস্তরণে পাঠদানরত শিক্ষক বলছেন এবং লিখে যাচ্ছেন। শিক্ষার্থীরা সে পাঠ গ্রহণের চেষ্টা করছে। কিন্তু কতটুকু পাঠ গ্রহণ করতে পারছে শিক্ষার্থীরা! কারণ বিদ্যালয় মাঠে প্রতি সোমবার জড়ো করা হচ্ছে গরু-ছাগল। ক্রেতা-বিক্রেতার বাদানুবাদ আর গরু-ছাগলের ডাকে এক অরাজক পরিবেশ বিরাজ করছে। ফলে অমনোযোগী হয়ে পড়ছে শিক্ষার্থীসহ শিক্ষকরা। দৃশ্যটি পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লালুয়া ইউনিয়ন পরিষদের সামনে হাটখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।
অভিভাবকরা জানান, বিদ্যালয়ের সামনে খেলার মাঠে গরু-ছাগলের হাট বসানোয় শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে চরমভাবে। বর্ষা মৌসুম হওয়ায় মাঠে সারাক্ষণ কাদা জমে থাকে। শিক্ষার্থীরা সেখানে খেলাধুলা করতে পারে না। এমনকি তারা মাঠ দিয়ে চলাচলও করতে পারে না। গরুর হাটের কারণে বিদ্যালয়ের একমাত্র খেলার মাঠটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি সবুজ প্যাদা বলেন, প্রধান শিক্ষক এবং ইজরাদারকে গরুর হাট না বসানোর জন্য অনুরোধ করেছি। বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যানকেও জানানো হয়েছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল বলেন, স্থানীয় তহসিলদার ইজারাদারের মাধ্যমে হাট কালেকশন করে থাকেন। চেয়ারম্যানের মাধ্যমে আশ্বস্ত করা হয়েছে আগামী সপ্তাহ থেকে এখানে আর হাট বসানো হবে না।
লালুয়া ইউপি চেয়ারম্যান শাখাওয়াত হোসেন তপন বিশ্বাস বলেন, বিদ্যালয়ের সামনে গরু ছাগলের হাট না বসানোর জন্য তহসিলদারসহ ইজারাদারকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।