নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ স্লুইজ গেটের মুখ খুলে মিষ্টি পানি বের করে মাছ শিকার করায় হুমকির মুখে পড়েছে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার চম্পাপুর ইউনিয়নের প্রায় দুই হাজার একর জমির রবিশষ্য চাষ। উপজেলার পাটুয়া স্লুইজগেট দখলে রেখে প্রতি বছর রবি মৌসুমে স্থানীয় একটি চক্রের এমন জিম্মি দশায় শিকার ছয়টি গ্রামের সাধারন মানুষসহ কয়েক’শ কৃষক। স্থানীয়সহ ভূক্তোভোগী কৃষকরা জানান, উপজেলার চম্পাপুর ইউনিয়নের প্রায় দুই হাজার একর জমিতে রবি ফসল ও ইরি ধানের চাষ করছে কৃষকেরা। বর্তমানে প্রায় পানি শুন্য অবস্থায় রয়েছে আবাদি জমি সংলগ্ন সমস্ত খাল। ফলে চালিতাবুনিয়া, বিনামকাটা, গোলবুনিয়া, কৃষ্ণপুর, মাছুয়াখালী, পাটুয়া গ্রামের কৃষকসহ সাধারন মানুষ পাটুয়া স্লুইজ গেট খালটির উপর নির্ভরশীল হয়ে পরে। সাবেক ইউপি সদস্য কামাল মৃধা বলেন, রবিশষ্য মৌসুমে স্থানীয় সোহরাব গাজী, মন্টু গাজী, ট্রলার মালিক আলম মৃধা ও হানিফ মৃধা গংরা মাছ শিকারের নামে পাঁচ দিন ধরে মিষ্টি পানি স্লুইজ গেট দিয়ে বের করে দিচ্ছে। এতে ওইসব গ্রামের কৃষি কাজসহ সাধারন গৃহস্থলী কাজ ব্যহত হয়ে পড়েছে। গত শুক্রবার সকালে সোহরাব গাজীসহ অন্যান্যদের পানি নামাতে নিষেধ করি। কিন্তু তারা কারো কথায় কর্নপাত করেনি। এসব অভিযোগ অস্বীকার করে ট্রলার মালিক আলম মৃধা জানান, ট্রলার চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরী হওয়ায় স্লুইজ গেট খুলে কচুরীপানা বের করে দেয়া হয়েছে। স্লুইজ গেটের কপাট ফাঁকা থাকায় পানি বের হয়ে যায় বলে তিনি দাবী করেন। সোহরাব গাজী জানান, পানি নামানোর সময় মাছ ধরা হয়েছে। মাছ ধরা শেষে হওয়ার পর জোয়ারের সময় আবার খালে পানি প্রবেশ করানো হয়েছে। তবে প্রবেশ করানো ওই পানি লবনাক্ত ছিলনা বলে দাবী করেন তিনি। কৃষক মাসুদ চৌকিদার জানান, বর্তমানে গরু মহিষের পানি খাওয়ার মত অবস্থা নাই। খালে পানি না থাকায় গৃহস্থলী কাজ ব্যহত হচ্ছে। নদীতে লবনাক্ত পানি। এ পানি খালে প্রবেশ করালে শতশত একর জমির ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। চম্পাপুর ইউপি চেয়ারম্যান রিন্টু তালুকদার জানান, অভিযুক্তরা তাদের ইচ্ছামত স্লুইজ গেট খুলে পানি উঠা নামা করায়। এতে ক্ষতির মুখে পড়ছে কৃষকরা । এটা চরম অন্যায়। আমি এ বিষয় দ্রুত কার্যকরি পদক্ষেপ নিব।