• ৫ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২১শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ১২ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

কলাপাড়ায় চাঞ্চল্যকর ডাকাতি ও নববধূ ধর্ষণ মামলায় তিন আসামি গ্রেপ্তার

বিডিক্রাইম
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৫, ১৮:৪৫ অপরাহ্ণ
কলাপাড়ায় চাঞ্চল্যকর ডাকাতি ও নববধূ ধর্ষণ মামলায় তিন আসামি গ্রেপ্তার

তানজিল জামান জয়, কলাপাড়া॥ পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ১৪ জুলাই রাতে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর ডাকাতি ও ধর্ষণ মামলার তিন প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—কাওসার, শওকত হোসেন রিপন সোহাগ ও আশীষ গাইন।

শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের হলরুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার আনোয়ার জাহিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার

পুলিশ জানায়, তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় বুধবার রাত পর্যন্ত তিনজনকে আলাদা জায়গা থেকে আটক করা হয়। এর মধ্যে ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর থানার শ্যামকুড় সীমান্ত এলাকা থেকে কাওসার, ঢাকার দারুস সালাম থানার বস্তি এলাকা থেকে রিপন সোহাগ এবং কলাপাড়া পৌর এলাকা থেকে আশীষ গাইনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতদের পরিচয়ও জানায় পুলিশ। কাওসার কলাপাড়া থানার লতাচাপলী এলাকার আবুল হোসেন হাওলাদারের ছেলে, রিপন সোহাগ বরগুনা জেলার বামনা থানার পোটকাখালী গ্রামের জালাল প্যাদার ছেলে এবং আশীষ গাইন কলাপাড়া পৌর শহরের নাচনাপাড়া এলাকার রনজিৎ গাইনের ছেলে।

পরিকল্পিত ডাকাতি ও পাশবিক নির্যাতন

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। তারা ডাকাতি করার জন্য ১৪ জুলাই রাত ৮টা ৩০ মিনিট থেকে বাদীর বাড়ির পাশের একটি পরিত্যক্ত ভবনে অবস্থান নেয়।

রাত প্রায় ১টা ৩০ মিনিটে ডাকাত দলের কয়েকজন সেলাই রেঞ্চ, শাবল ও স্ক্রু ড্রাইভারের সাহায্যে বাড়ির বারান্দার গ্রিল কেটে ভেতরে প্রবেশ করে। পরে ভেতর থেকে দরজা খুলে দিলে অন্য সদস্যরাও ঢুকে পড়ে।

প্রথমে পরিবারের সদস্যদের হাত-পা ও চোখ বেঁধে ফেলার পর নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও মোবাইল ফোন লুট করা হয়। এরপর কাওসার ও রিপন সোহাগকে পাহারায় রেখে আশীষ গাইনসহ অন্যান্যরা বাদীর সদ্য বিবাহিত স্ত্রীকে অন্য কক্ষে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

ঘটনার পটভূমি

উল্লেখ্য, গত ১৪ জুলাই রাত আড়াইটার দিকে কলাপাড়ার টিয়াখালী এলাকায় শিক্ষক তরিকুল ইসলামের বাড়িতে এ ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ডাকাতরা পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে প্রায় ১৩ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও ৫০ হাজার টাকা লুট করে। পাশাপাশি নববধূকে চারজন মিলে পাশবিক নির্যাতনের শিকার করে।

ঘটনার পরপরই এটি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে এবং দেশজুড়ে আলোচনার জন্ম দেয়।