• ৫ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২০শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ১৩ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

কলাপাড়ার ১৩৬ পরিবারকে পুনর্বাসিত করার আশ্বাস দিয়েছেন পায়রা বন্দরের চেয়ারম্যান

বিডিক্রাইম
প্রকাশিত অক্টোবর ১৭, ২০২৪, ২০:৫৬ অপরাহ্ণ
কলাপাড়ার ১৩৬ পরিবারকে পুনর্বাসিত করার আশ্বাস দিয়েছেন পায়রা বন্দরের চেয়ারম্যান

oplus_1024

তানজিল জামান জয়, কলাপাড়া॥ কলাপাড়ার সেই ১৩৬ পরিবারকে পুনর্বাসিত করার আশ্বাস দিয়েছেন পায়রা বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল আবদুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী। বৃহম্পতিবার সকাল ১০ টার দিকে ভূমিহীন পরিবারের সদস্যরা পুনর্বাসনের দাবীতে পায়রা বন্দরের গেটে বিক্ষোভ করেন।

এক পর্যায়ে ভুক্তভোগীদের মধ্য থেকে ৪ জনের একটি প্রতিনিধি দল বন্দর চেয়ারম্যানের সাথে দেখা করতে যান। এ সময় বন্দরের চেয়ারম্যান মানবিক দিক বিবেচনা করা পুনর্বাসনের সহযোগীতার আশ্বাস দিয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের প্রতিনিধি হিসেবে ইব্রাহিম শিকারী, মোঃ ফোরকান হাওলাদার, লাইলী এবং কলাপাড়া পরিবেশ ও জনসুরক্ষা মঞ্চের সদস্য মোঃ নজরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিনিধি দলটি পায়রা বন্দর চেয়ারম্যানের কাছে পুনর্বাসনের দাবীতে লিখিত আবেদন জমা দিয়েছেন। বন্দর চেয়ারম্যান আবেদন গ্রহণ করেন এবং পায়রা বন্দরের উর্ধতন ৪ জন কর্মকর্তাসহ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সাথে কথা বলেন। ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, গত শুক্রবার জিয়া কলোনীর ভূমিহীন ১৩৬ পরিবারকে ভেকু নিয়ে উচ্ছেদ করতে আসে।

এই সময়ে পুনর্বাসনের দাবীতে বিক্ষোভের মুখে পিছু হটতে বাধ্য হয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান লোকজন। পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফেসবুকের মাধ্যমে পুনর্বাসনের আগে উচ্ছেদ না করার জন্য নির্দেশনা দেন। বিগত দুই দশক আগে তৎকালীন সরকার বাস্তুভিটাহীন হওয়ার কারণে ভূমিহীন পরিবারগুলোকে বসবাসের জন্য ইটবাড়িয়া গ্রামে আন্ধারমানিক নদীর পাড়ে বেড়িবাঁধের ঢালে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমিতে কলোনী করে থাকার সুযোগ করে দিয়েছিল।

জানা যায়, সম্প্রতি পায়রা বন্দরের প্রথম টার্মিনাল থেকে পায়রা বন্দর প্রশাসনিক ভবন হয়ে ঢাকাÑকুয়াকাটা আঞ্চলিক সড়কের সাথে যুক্ত হওয়ার বিকল্প সড়ক হিসাবে পায়রা বন্দরের গেট থেকে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু পর্যন্ত বেড়িবাঁধের উপর রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে।

এই রাস্তা নির্মাণ করতে কলোনীসহ বেড়িবাঁধের ঢালে বসবাসকারী ১৩৬টি পরিবারকে উচ্ছেদ করা হচ্ছে। কলাপাড়া উপজেলায় বৃহৎ প্রকল্পগুলোর মধ্যে পায়রা বন্দরে ক্ষতিগ্রস্থ ৩,৪২৩ টি পরিবারকে পর্যায়ক্রমে পুনর্বাসন করা হচ্ছে।

অন্য দিকে এই ভূমিহীন পরিবারগুলোকে উচ্ছেদ করা হলেও কোন ধরনের পুনর্বাসন, ক্ষতিপূরণ অথবা সহযোগীতা করা হচ্ছে না।