• ১০ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৫শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ১৮ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

কলাপাড়ায় নৌকার বিজয়ী প্রার্থীর সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার পথে হামলায় আহত ৭

বিডিক্রাইম
প্রকাশিত জানুয়ারি ৮, ২০২৪, ১৬:৪৯ অপরাহ্ণ
কলাপাড়ায় নৌকার বিজয়ী প্রার্থীর সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার পথে হামলায় আহত ৭

বিডি ক্রাইম ডেস্ক, বরিশাল॥ পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নৌকার বিজয়ী প্রার্থীর সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যাওয়ার পথে সাতজনকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। আজ সোমবার সকালে উপজেলার টিয়াখালী হাটখোলা বাজারসংলগ্ন মুজিব কিল্লার পাশে এই ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় মুমূর্ষু অবস্থায় বশির চৌকিদার (৫০) নামের এক ব্যক্তিকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শেবাচিম) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের কলাপাড়া উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

হামলার শিকার ব্যক্তিদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, টিয়াখালী হাটখোলা বাজার থেকে এমপির সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন নৌকার সমর্থকেরা। মুজিব কিল্লা এলাকায় পৌঁছালে টিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান সুজন মোল্লার নেতৃত্বে ঈগল প্রতীকের সমর্থকেরা তাঁদের কুপিয়ে জখম করে।

তবে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান সুজন মোল্লা দাবি করেন, এ ধরনের কোনো ঘটনার সঙ্গে আমি সম্পৃক্ত নই। সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী সিমু মিরার চক্রান্ত এটা।

আহত নৌকা প্রতীকের কর্মী মিজানুর রহমান মিজু মাস্টার বলেন, ‘সকালে আমরা এমপির সঙ্গে দেখা করে তাঁকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানোর জন্য কলাপাড়া রওনা দিয়েছি। এ সময় টিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান সুজন মোল্লার নেতৃত্বে তাঁর ভাই জামাল মোল্লা, কামাল মোল্লা, খোকন প্যাদা, তুহিন প্যাদা, ফারুক প্যাদা, মধু প্যাদা ও রাহাত আমাদের ওপর হামলা চালায়। তারা সবাই ঈগল প্রতীকের প্রার্থী মাহবুবুর রহমানের লোক।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোতালেব তালুকদার বলেন, বিজয় আনন্দ উপভোগ করতে নেতা-কর্মীরা কলাপাড়া যাওয়ার পথে ঈগল প্রতীকের কর্মীদের হামলায় আকিব, সোহেল, ইদ্রিস প্যাদা, শিপন, মিজানুর রহমান মিজা মাস্টার, মিজানুর হাওলাদার ও বশির চৌকিদার আহত হয়।

তবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্বতন্ত্র প্রার্থী (ঈগল প্রতীক) মাহবুবুর রহমান তালুকদার বলেন, ‘অভিযোগটি সম্পূর্ণ বানোয়াট। স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পেরেছি, সকালে নৌকার কর্মীদের ৫০-৬০ জনের একটি দল স্থানীয় ফারুক প্যাদার বাড়িতে হামলা করতে যায়। এ সময় স্থানীয়রা তাদের প্রতিহত করে। খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ উপস্থিত হয়। এ সময় টিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান সুজন মোল্লা কলাপাড়া শহরে ছিল।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহম্মদ বলেন, ‘বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ঘটনায় এখনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।