নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় একটি করাতকল উপজেলার বন বিভাগের চরমোন্তাজ রেঞ্জের আওতাধীন বনের মধ্যে গড়ে উঠেছে প্রভাবশালীদের অবৈধ করাতকল। বন বিভাগের কর্মকর্তাদের মাসোয়ারা দিয়ে চলছে এসব অবৈধ করাতকল।সরকারি বন থেকে ১০ কিলোমিটারের মধ্যে করাতকল স্থাপন ও পরিচালনা করা নিষিদ্ধ। এমনকি সরকারি অফিস-আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং জনস্বাস্থ্য কিংবা পরিবেশের ক্ষতি করবে এমন স্থানের ২০০ মিটার দূরে করাতকল স্থাপন করতে হবে। উল্লেখিত কোনো স্থানে করাতকল স্থাপন করা হলে ৯০ দিনের মধ্যে মালিক তা বন্ধ করে দিবেন। তা না হলে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওই করাতকল বন্ধ করার জন্য আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। অথচ এসব নিয়ম-কানুনের তোয়াক্কা না করেই চরমোন্তাজ রেঞ্জের আওতাধীন বনের ১-৩ কিলোমিটারের মধ্যে প্রভাবশালীরা লাইসেন্সবিহীন অবৈধ করাতকল চালাচ্ছেন। সরেজমিনে দেখা যায়, চরমোন্তাজ স্লুইস বাজারে বন থেকে আধা কিলোমিটার দূরে জিয়া ফরাজির করাতকল, একই এলাকায় বন থেকে আধা কিলোমিটার দূরে মাসুমের করাতকল, দারভাঙা বন থেকে তিন কিলোমিটার দূরে আবু মিয়ার করাতকল, দারভাঙা স্লুইস এলাকায় বন থেকে এক কিলোমিটার দূরে ফিরোজের করাতকল, মধ্য চরমোন্তাজে বন থেকে এক কিলোমিটার দূরে জামাল শরিফের করাতকল, চরবেষ্টিন এলাকায় বন থেকে এক কিলোমিটার দূরে শাহাজাদার করাতকল, নলুয়া এলাকায় বন থেকে এক কিলোমিটার দূরে মহিউদ্দিনের করাতকল, চরমোল্ল এলাকায় বন থেকে আধা কিলোমিটার দূরে মোহন হোসেনের করাতকলসহ বিভিন্ন এলাকায় ১১টি লাইসেন্সবিহীন অবৈধ করাতকল বন থেকে ১-৩ কিলোমিটার দূরে স্থাপন করা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ বিধিমালা বহির্ভূত। স্থানীয়রা জানায়, ৪-৫ বছর আগে ওইসব লাইসেন্সবিহীন এবং বিধি বহির্ভূতভাবে করাতকল স্থাপন করা হলেও অজানা কারণে সংশ্লিষ্টরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। একাধিক করাতকল মালিক জানান, বন বিভাগের সংশ্লিষ্ট বিট কর্মকর্তাকে প্রতি মাসে নির্ধারিত অঙ্কের মাসোয়ারা দিয়ে করাতকল চালানো হচ্ছে। এ কারণে ওইসব করাতকলের লাইসেন্স প্রয়োজন হয় না। চরবেষ্টিন ক্যাম্পের বিট কর্মকর্তা আব্দুস সালাম বলেন, আমার আওতাধীন ৫টি করাতকল বন্ধ করা হয়েছে। বাকি করাতকলগুলো কিভাবে চলছে তা আমি বলতে পারব না। চরমোন্তাজ সদর ক্যাম্পের বিট কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, এসব করাতকল চুরি করে চালানো হয়। আমি অল্পদিন আগে এসেছি। আগের বিট অফিসার তাদের নোটিশ করেছেন। মাসোয়ারা আদায় করার বিষয়টি সত্য না।