• ১৫ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৩১শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ২২শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

উপকূলে দুপুরে কুয়াশার আড়ালে সূর্য!

বিডিক্রাইম
প্রকাশিত ডিসেম্বর ১৩, ২০২৪, ১৭:৩৯ অপরাহ্ণ
উপকূলে দুপুরে কুয়াশার আড়ালে সূর্য!

স্বপন কুমার ঢালী, বেতাগী ॥ কনকনে শীত ও ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে উপকূলীয় জনপদ বরগুনার বেতাগীর জনজীবন। গত কয়েকদিন ধরে গভীর রাত থেকে সকাল ১০টা-১১টা পর্যন্ত থাকে এ ঘন কুয়াশা।:আজ শুক্রবার সকাল থেকে কনকনে শীত আর হিমেল বাতাসে জনজীবন বিপর্যস্ত। দুপুরে ২ ঘন্টার জন্য সূর্য আলো দেখা মিললেও তাপমাত্রা ছিলো কম। দিনের বেলায় হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহনকে সড়কপথে চলাচল করতে হচ্ছে। শীতের সাথে কনকনে বাতাস যুক্ত হওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে খেটেখাওয়া শ্রমজীবী মানুষ, দিনমজুর ও ক্ষেতমজুরসহ সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ।

গত দুইদিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকলেও আজ শুক্রবার রাতের তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং দিনের তাপমাত্র ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বরিশাল আবহাওয়া অফিস থেকে জানা গেছে, উপকূলে এ অবস্থা আগামী কয়েকদিন থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে দেখা গেছে ঘনকুয়াশার কারণে সূর্যের তাপ ছড়াতে পারছে না। উপকূলে দুপুরে কুয়াশার চাঁদরে ঢেকে রয়েছে সূর্য।

গত চারদিন ধরে উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে ঘন কুয়াশা এবং এর সাথে হিমেল হাওয়া যুক্ত রয়েছে। কোথাও কোথাও ঘনকুয়াশা দেখে মনে হচ্ছে আগুনে ধোঁয়া বের হচ্ছে।
কনকনে ঠাণ্ডায় প্রত্যন্ত অঞ্চলের শ্রমজীবী মানুষ, দিনমজুর ও ক্ষেতমজুর, সাধারণ মানুষ ও নিম্নবিত্ত পরিবারগুলো পুরাতন গরম কাপড় কিনতে গিয়েও হিমশিম খাচ্ছেন।

কোথাও খড়কুটা জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন গ্রামের নিম্নবিত্তরা।

শীতের সাথে কনকনে বাতাসের কারণে প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন না কেউ।
শীতের এ বৈরী আচরণে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে থাকছে ক্রেতা-বিক্রেতার উপস্থিতি অনেক কম। বেতাগী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ঢালীকান্দা গ্রামের রিকশাচালক বিমল পরামানিক ও রাখাল ঢালী বলেন, ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতের মধ্যেও রিকশা নিয়ে রাস্তায় বের হতে হয়েছে, কারণ সাপ্তাহিক কিস্তির টাকা জোগাড় করতে হবে।

বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সায়্যৈদ আমারুল বলেন, তীব্র শীতের কারণে নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের শ্বাসকষ্ট, বুকের ঠাণ্ডাজনিত, নিউমোনিয়া এবং ফুসফুসের ঠাণ্ডা ও সর্দি-জ্বরের রোগীর সংখ্যা বেড়েছে।