নিজস্ব প্রতিবেদক।
উজিরপুরের গড়িয়া জালালিয়া ফোরকানিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার ( নিবন্ধন নং -বরিঃ ১০৭৬/০৩। তারিখ ০৪/১২/২০০৩) শিক্ষক মো. আবু সালেহ এর নিয়োগ সাক্ষর জাল করে করার প্রমাণ মিলেছে। জানা গেছে মাদ্রাসার একমাত্র প্রধান শিক্ষক আবু সালেহ্ বহুদিন যাবৎ নিজের খেয়াল খুশিমত অনিয়ম করে চলেছেন।কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের খাবারেও নাকি চলেছিল ব্যাপক অনিয়ম। এ সমস্ত বিষয়ে একাধিকবার মাদ্রাসার সভাপতি,প্রতিষ্ঠাতা ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্যদের এলাকাবাসী অবগত করলেও কেউ কোন ব্যাবস্থা নেননি বলে জানায় স্থানীয় লোকজন।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্থানীয় লোকজন বলেন” আবু সালেহ্ একজন চিন্হিত প্রতারক। তিনি বিভিন্ন কৌশলে এ মাদ্রাসায় টিকে আছে।তার একটাই কারন, এ প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক অর্থ সাহায্য আসে।মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা একজন সাবেক জেলা প্রশাসক হওয়ায় মাদ্রাসার আয় রোজগারও ভাল। আবার ইলিশের অভিযানের সময়কার এ প্রতিষ্ঠানে সর্বোচ্চ পরিমানে ইলিশ আসলেও এতিমরা তা চোখে দেখে না।এলাকার বিভিন্ন বাড়ির ফ্রিজে সে মাছ সংরক্ষণ করে এই হুজুর। ইতিপূর্বে জোর করে এ মাদ্রাসার শিক্ষক হয়েছিলেন তিনি। তখন কোন ধরনের নিয়োগ ছিলনা তার। পরবর্তী সময়ে সভাপতির সাক্ষর নকল করে নিয়োগ এর একটি ভূয়া কাগজ তৈরি করেছেন। ”
দীর্ঘদিনের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে আসল তথ্য। কাগজপত্রে দেখা যায় তিনি ১৫/০২/২০১১ তে আবেদন করেন, ২২/০৩/২০১১ তে নিয়োগপত্র (ভূয়া) দেয়, ১/০৪/২০১১ তে যোগদান করেন। এসমস্ত কোন সিদ্ধানতই মাদ্রাসার অন্যান্য সদস্যরা জানেন না। নেই কমিটির হাজিরা বইতেও এর প্রমাণ। এমনকি ২০১৭ সালের ৯ এপ্রিল প্রতিবেদকের প্রথম প্রতিবেদনের সাক্ষাৎকার এ তিনি স্বীকার করেছিলেন তার কোন নিয়োগ হয়নি।এ মর্মে সবার কাছে কক্ষমাও চেয়েছিলেন। এক পর্যায় আবু সালেহ্ নিজেই স্বীকার করেন যে, তিনি স্থানীয় একটি কম্পিউটার এর দোকান থেকে সভাপতি মো.হাচান আলীর ( আসল নাম হাসান) সাক্ষর জাল করে এ ভূয়া নিয়োগ তৈরি করেন। এবং এ বিষয়ে তিনি প্রতিবেদকের সাথে আপোশ করতে চান। তিনি আরো বলেন, স্থানীয় সাংবাদিক যার নামের প্রথম অক্ষর “স” তিনিও প্রতি মাসেই তার কাছ থেকে দুই হাজার টাকা নেন এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে।এবং তাকে প্রতিবেদকের সাথে ফোনে আলাপ করিয়ে দেয়। এক পর্যায়ে সেই হলুদ সাংবাদিক দশ হাজার টাকা দিয়ে বিষয়টি মিমাংসার প্রস্তাব দেয়।
এসব বিষয়ে মাদ্রাসার সভাপতির সাথে ফোনে (০১৭১৮ ৩৫৬০০২ ) যোগাযোগ করলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
জালিয়াতির বিষয়টি সমন্ধে উজিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুমা আক্তারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সচেতন এলাকাবাসী।