পিরোজপুর প্রতিনিধি॥ পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার ঘোষেরহাট বাজারে সরকারি নির্ধারিত দামের চেয়ে অতিরিক্ত দামে সার বিক্রির অভিযোগ উঠেছে ‘আতিক ট্রেডার্স এন্টারপ্রাইজ’ নামে এক খুচরা বিক্রেতার বিরুদ্ধে। উপজেলা কৃষি অফিসের তদন্ত চলমান থাকা কালিন আবারও একই তথ্য সরেজমিনে পাওয়া গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দোকানটির মালিক হেমায়েত মোল্লা দীর্ঘদিন ধরে কৃষকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত দামে সার বিক্রি করে আসছেন। এর আগে অভিযোগ পাওয়ার পর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান ঘটনাটি তদন্ত শুরু করেন। তবে তদন্ত চলা কালিন সময় আবারও ওই সার বিক্রেতা কৃষকদের মাঝে অতিরিক্ত দামে সার বিক্রির করেছেন।
শনিবার ও রবিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হেমায়েত মোল্লা স্থানীয় কৃষকদের পাশাপাশি অন্য উপজেলায় বিক্রির নিয়ম নিষিদ্ধ থাকলেও পার্শ্ববর্তী মোড়লগঞ্জ উপজেলায় বেশ চড়া দামে সার বিক্রি করেন।
মোড়লগঞ্জ উপজেলার চর-হোগলাবুনিয়া গ্রামের আইউব আলীর ছেলে কৃষক মিজান বলেন, “আমি হেমায়েত মোল্লার দোকান থেকে ইউরিয়া ৩০ টাকা, ডিএপি ৩০ টাকা এবং এমওপি ২৫ টাকা কেজি দরে কিনেছি- যা সরকারি দামের চেয়ে অনেক বেশি।
একই এলাকার আঃ খালেক হাওলাদারের ছেলে আঃ কুদ্দুস হাওলাদার বলেন, ডিএপি সার ৩৫ টাকা করে ২০ কেজির মূল্য ৭০০ টাকা নিয়েছেন হেমায়েত মোল্লা।
একই গ্রামের আরেক কৃষক ফজলু বলেন, আমি সৌদিয়া সার ৩০ টাকা কেজি দরে ৮ কেজি কিনেছি।
দক্ষিণ ইন্দুরকানী গ্রামের জয়নাল মাতুব্বরের ছেলে হারুন মাতুব্বর জানান, “ডিএপি সার ৩৫ টাকা কেজি দরে ১০ কেজি ৩৫০ টাকায় কিনেছি। পরে ৫০ কেজির জন্য ১,৬০০ টাকা দিতে হয়েছে।” একই গ্রামের মিলবাড়ি এলাকার আরেক কৃষক অসিম মিস্ত্রি বলেন, হেমায়েত মোল্লার কাছ থেকে আমি ৫ কেজি সাদা সার কিনেছি ১৪০ টাকায়।
অভিযোগ অস্বীকার করে হেমায়েত মোল্লা বলেন, আমি সরকার নির্ধারিত মূল্যেই সার বিক্রি করছি। আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন। এছাড়া খুচরা সার কেহ কিনতে আসলে তার পরিচয় জিগ্যেস করা হয়না।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান বলেন, এর আগেও তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছিল সেটার তদন্ত চলমান রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, এক উপজেলা থেকে অন্য উপজেলায় সার বিক্রি করা যায় না। তদন্ত শেষ হলে রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।