• ১০ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৬শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

রাজাপুরে ইউএনও গিয়ে দেখলেন স্কুল দুটিতে ঝুলছে তালা

বিডিক্রাইম
প্রকাশিত নভেম্বর ১৮, ২০২৪, ২০:৪২ অপরাহ্ণ
রাজাপুরে ইউএনও গিয়ে দেখলেন স্কুল দুটিতে ঝুলছে তালা

বিডি ক্রাইম ডেস্ক,বরিশালঃ
ঝালকাঠির রাজাপুরের গালুয়া ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৪৫নং গালুয়া দূর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনে গিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দেখতে পেলেন দুই স্কুলে তালা ঝুলছে। এ ঘটনায় দুই স্কুলের শিক্ষকদের ৩ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিস দিয়েছেন ইউএনও রাহুল চন্দ।

অভিযোগে জানা গেছে, নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে উপজেলা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা ইচ্ছেমতো স্কুলে আসা-যাওয়া করেন ও দুপুরের পর কিছু কিছু স্কুলে ক্লাস না করিয়ে ছুটি দিয়ে দিচ্ছেন। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলার গালুয়া ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৪৫নং গালুয়া দূর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনে গিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সত্যতা পান এবং দুই স্কুলে তালা ঝুলতে দেখে হতবাক হন।

কারণ দর্শানোর নোটিস সূত্রে জানা গেছে, ইউএনও রাহুল চন্দ গত বুধবার দুপুর সাড়ে ৩টার সময় গালুয়া ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৪৫নং গালুয়া দূর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সরেজমিনে পরিদর্শনে যান। সেখানে প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক, কর্মচারী ও কোনো শিক্ষার্থীর উপস্থিতি পাননি। এসময় সকল শ্রেণিকক্ষ তালাবদ্ধ দেখতে পান ইউএনও। এর প্রেক্ষিতে কর্তব্যে অবহেলার কারণে শিক্ষকদের আগামী ৩ তিন দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়।

জানা গেছে, গালুয়া ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১৭ জন শিক্ষক-কর্মচারী মাসে ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা বেতন উত্তোলন করেন এবং ওই স্কুলে শিক্ষার্থী রয়েছে ২০৯ জন।

এ বিষয়ে গালুয়া ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবিএম রিয়াদুল আলম জানান, স্কুলের ফলাফল প্রকাশ দিবস থাকায় একটানা ক্লাস করিয়ে ৩টার দিকে ছুটি দেওয়া হয়েছে। যথাযথভাবে শোকজের জবাব দেওয়া হয়েছে।

৪৫নং গালুয়া দূর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ মুহাম্মদ ইশা জানান, শিক্ষক কম ছিল, তারা ক্লান্ত হয়ে গেছিল। তাছাড়া বিদ্যালয়ে নারিকেল গাছ রোপণের জন্য কিছুটা আগে ছুটি দেওয়া হয়েছিল। শোকজের জবাব দেওয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে ইউএনও রাহুল চন্দ জানান, দুই বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের শোকজ করা হয়েছে। জবাব যুক্তিযুক্তভাবে না দিতে পারলে তাদের বিরুদ্ধে নিয়মানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।