আমতলী প্রতিনিধি॥ আমতলীতে সাবেক স্বামীকে শায়েস্তা করতে গিয়ে ভাড়া করা তিন কিশোর গ্যাংসহ তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী লাইজু আক্তার নামে এক নারীসহ তিন কিশোর গ্যাং পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে এখন জেল হাজতে বাস করছেন। আমতলী উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের উরশিতলা গ্রামে রবিবার রাতে এঘটনা ঘটে।
গ্রেফতারকৃতরা হল মো. সাকিল (১৯) মো. রাকিবুল (১৯) মো. ওলি হাওলাদার (১৯) ও তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী লাইজু আক্তার (২৪)। আমতলী থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের হরিমৃতুঞ্জয় গ্রামের মোস্তফা কাজীর মেয়ে লাইজু আক্তারের সাথে ১০ বছর পূর্বে একই ইউনিয়নের পূর্ব কুকুয়া গ্রামের লতিফ মুছল্লির ছেলে ফরহাদ হোসেন জয় মুছল্লির সাথে বিবাহ হয়।
বিবাহের এক বছর পর লাইজু ও ফরহাদ দম্পত্তির ঘরে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। সন্তান জন্মের পর থেকে তাদের দাম্পত্য বিরোধ দেখা দেয়।
দাম্পত্য বিরোধ দেখা দেওয়ায় ২০২৩ সাথে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। বিচ্ছেদের পর লাইজ আক্তার আমতলীর একেস্কুলের একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছেন।
ফরহাদ মাঝে মধ্যে তার মেয়েকে দেখতে আমতলী আসতো। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সাবেক স্বামী ফরহাদকে শায়েস্তা করতে রবিবার সন্ধ্যায় তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী লাইজু আক্তার পূর্ব পরিকল্পনা করে ফরহাদকে মেয়ে দেখার জন্য উরশিতলা গ্রামের সড়কে আসতে বলেন।
এর আগেই লাইজু বেগম ওই সড়কে তিন কিশোর গ্যাংকে ভাড়া করে ঘটনাস্থলে উপস্থিত রাখেন। লাইজু বেগমের পরিকল্পনা অনুযায়ী ফরহাদ তার মেয়েকে দেখার জন্য ঘটনাস্থলে আসা মাত্রই তিন কিশোর গ্যায়ের সদস্যরা তাকে ঘিরে ধরেন এবং এলোপাথারি কিলঘুষি এবং মারধর শুরু করেন।
মারধরের এক পর্যায়ে ফরহাদ মাটিতে লুটিয়ে পরলে তারা ফরহাদের সাথে থাকা মোবাইল ও টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
টাকা ও মোবাইল হারিয়ে ওই রাতেই ফরহাদ আমতলী থানায় সাবেক স্ত্রী লাইজু আক্তারের নাম উল্লেখ করে এবং তিন জনকে অজ্ঞাত আসামী করে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।
অভিযোগ পেয়ে আমতলী থানা পুলিশের একটি টিম রাতেই অভিযান পরিচলনা করে লাইজু আক্তারকে গ্রেপ্তারের পর তার স্বীকারোক্তি অনুয়াযী ভাড়া করা তিন কিশোর গ্যাংকে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হল মো. সাকিল (১৯) মো. রাকিবুল (১৯) মো. ওলি হাওলাদার (১৯) গ্রেপ্তার কৃত চার জনকে সোমবার সকালে আমতলী উপজেলা নিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সোপর্দ করেন।
আদালতে বিজ্ঞ বিচারক ইপতি হাসান তাদের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ প্রদান করেন।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, ফরহাদেও অভিযোগর পর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে সাবেক স্ত্রী লাইজু বেগমসহ ভাড়া করা তিন কিশোর গ্যাং সদস্যকে গ্রেপ্তার কওে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।