আমতলী প্রতিনিধি॥ রাতের আঁধারে জোরপূর্বক দখলীয় জমির পাকা ধান কেটে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।
ঘটনা ঘটেছে আমতলী উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের পাতাকাটা গ্রামে জমির মালিক মনিরুজ্জামান বাবুল লিখিত অভিযোগ করে বলেন, উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের পাতাকাটা মৌজায় পৈত্রিক ও মাতার সম্পত্তি হিসেবে ৪.৮৮ একর জমি রয়েছে আমাদের।
ওই জমি আমি ও আমার তিনভাই ভোগদখল করে আসছি। গত শুক্রবার রাতে আমার ওই জমির পাকা ধান ডালিম হাওলাদার ও জুয়েল মাতুব্বরের নেতৃত্বে ২০-২৫ জন সন্ত্রাসী বাহিনী রাতের আঁধাওে কেটে নেয়। শুধু ধান নিয়েই ক্ষ্যান্ত হয়নি সত্রাসী বাহিনী, উল্টো আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের এখন প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে।
তাদেও হুমকির পর আমি ও আমার পরিবার এখন জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। পুলিশ প্রশাসনকে দ্রুত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।
মনিরুজ্জামান বাবুল লিখিত অভিযোগে আরো জানান, আমার মা ওয়ারিশ সুত্রে তার পিতা এবং মাতা থেকে ৯ একর ৬১ শতাংশ জমি প্রাপ্ত হন। যার মধ্যে ৫ একর ১৮ শতাংশ জমি তার নামে এসএ রেকর্ড ভুক্ত।
অবশিষ্ট জমি প্রাপ্তির জন্য আদালতে একটি বন্টন মামলা দায়ের করি। যার নম্বও ৪৭/২০০৮। আদালত আমার সকল কাগজ পত্র দেখে ২০০৯ সালের ২২ জুন তারখের রায় এবং ওই একই সালের ২৮ জুন তারিখ ডিত্রী প্রদান করেন।
অতপর বিরোধী পক্ষ আমার রায় ডিগ্রীর বিরুদ্ধে ৩১/২০০৯, ৩৮/২০১৫, ৩৪/২০২২ মিস কেস মামলা দায়ের করলে আদালত উভয়ের কাগজ পত্র দেখে আমাকে পুনরায় রায় ও চুরান্ত ডিগ্রী প্রদান করেন।
চলতি বছর আমার মায়ের রায়কৃত জমিতে চাষাবাদ করতে গেলে বিরোধী পক্ষ বাধা দিলে প্রায় ৭ একর জমি অনাবাদী থাকে।
এ নিয়ে একাধিক বার সালিস বৈঠক হলেও বিরোধী পক্ষ কোন সিদান্ত মানেনি। অভিযুক্ত ডালিম হাওলাদার ধান কাটা ও প্রাণনাশের হুমকির কথা অস্বীকার করে বলেন, মনিরুজ্জামান বাবুল ও তার লোকজন ধান কেটে নিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা দায় চাপাচ্ছেন।
বাবুল যে ধান কেটে নিয়েছেন তার প্রমাণ আছে আমাদের হাতে। আমতলী থানার ওসি আরিফুল ইসলাম বলেন, এ বিষয় অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।