• ১০ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৬শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

আমতলীতে বিয়ের দাবীতে প্রেমিকের বাড়িতে কিশোরী প্রেমিকার অবস্থান

বিডিক্রাইম
প্রকাশিত এপ্রিল ১০, ২০২৫, ১৯:২৭ অপরাহ্ণ
আমতলীতে বিয়ের দাবীতে প্রেমিকের বাড়িতে কিশোরী প্রেমিকার অবস্থান

আমতলী প্রতিনিধি॥ আমতলীর চাওড়া ইউনিয়নের পূর্ব চন্দ্রা গ্রামের প্রেমিক আরিফ মৃধার (২২) বাড়ীতে বিয়ের দাবীতে পশ্চিম চুনাখালী গ্রামের বাসিন্দ কিশোরী প্রেমিকা সীমা আক্তার (১৬) নামে এক মাদরাসা ছাত্রী বৃহস্পতিবার সকাল থেকে অবস্থান করছেন।

২৪ ঘন্টার মধ্যে তার বিয়ে সম্পন্ন না হলে সে বিষ পানে আত্মহত্যা করবেন বলে হুমকি দিয়েছে। মেয়েটির অবস্থানের পর প্রেমিক আরিফ মৃধা ও তার বাবা মা পলিয়েছেন।

এঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যেও সৃষ্টি হয়েছে। জানা গেছে, আমতলী উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের পূর্ব চন্দ্রা গ্রামের হেলাল মৃধা অনার্স পড়–য়া ছেলে অরিফ মৃধার (২২) সাথে আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের পশ্চিম চুনাখালী গ্রামের মোশারফ মাতুব্বরের মেয়ে মহিষকাটা নেছাড়িয়া দাখিলী মাদরাসার দশম শ্রেণির ছাত্রী সীমা আক্তার সাথে ২০২২ সালে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমের সূত্র ধরে আরিফ এবং সীমা বিভিন্ন জায়গায় একত্রে চলাচল করেছে।

এবং বিয়ের প্রলোভন দিয়ে অরিফ বিভিন্ন হোটেলে নিয়ে দুজন শারিরিক সম্পর্কেও লিপ্ত হয়েছে। এর পর সীমা আরিফকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে আরিফ আজ নয় কাল বিয়ে করবে বলে ঘুরাতে থাকে। ৩ এপ্রিল বিয়ের প্রস্ততি নিয়ে আরিফের কথা অনুযায়ী সীমা তাদের বাড়ি চলে আসে।

এসময় আরিফের বাবা মা বিয়েতে রাজী থাকার কথা বলে সীমাকে তাদেও বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। এবং কয়েকদিন অপেক্ষা করতে বলেন। আরিফ এবয় তার বাবা মা বিয়ের তারিখ ঠিক না করায় সীমা বৃহস্পতিবার বিয়ের দাবী নিয়ে আরিফের বাড়ীতে চলে আসেন।

সকালে আরিফ এবং তার বাবা মা বাড়িতে থাকলেও দুপুরের দিকে তারা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান বলে এলাকা বাসী জানান। এর পর থেকেই সীমা বিয়ের দাবীতে প্রেমিকের বাড়ীতে অবচস্থান করছেন। কিশোরী প্রেমিকা সীমা আক্তার বলেন, প্রেমিক আরিফ আমার সাথে ৩ বছর ধরে প্রেম করে।

বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন জায়গার হোটেলে নিয়ে শারিরিক সম্পর্কেও করেছে। ও যদি আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে আমাকে বিয়ে না করে তাহলে আমি এই বাড়িতেই বিষ পান করে মারা যাবো।

এটা আমার শেষ কথা। বয়স হয়নি কি ভাবে বিয়ে করবেন এ প্রশ্নে জবাবে সীমা বলেন, কাবিন ছাড়া বিয়ে করবো। যখন বয়স হবে তখন কাবিন করে নেব। প্রেমিক আরিফের মোবাইল নম্বরে একাধিক বার ফেন করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

অরিফের বাবা হেলাল মৃধা এবং লুৎফা বেগম আত্মগোপনে থাকায় তাদেও সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। গীমার বাবা মোশারেফ মাতুব্বর বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।

মেয়েওে মা ভালো লাগে তাই করুক। পূর্ব চন্দ্রা গ্রামের বাসিন্দা মনির প্যাদা বলেন, বিয়ের দাবীতে অবস্থান করা মেয়েটির বয়স মাত্র ১৬ বছর।

আইন অনুযায়ী তার বিয়ে আইন শিদ্ধ নয়। আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অরিফুল ইসলাম বলেন, এবিষয়ে আমারা কিছু যানি না। মামলা হলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।