• ১০ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৬শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

আমতলীতে পায়রা নদীর অব্যাহত ভাঙ্গনে ১৫টি গ্রাম হুমকির মুখে

বিডিক্রাইম
প্রকাশিত আগস্ট ২৭, ২০২০, ১৭:২৯ অপরাহ্ণ
আমতলীতে পায়রা নদীর অব্যাহত ভাঙ্গনে ১৫টি গ্রাম হুমকির মুখে

জাকির হোসেন, আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি: আমতলীর পায়রা নদীর অব্যাহত ভাঙ্গনে আমতলী ও তালতলী উপজেলার ১৫টি
গ্রাম হুমকির মুখে পরেছে। খর¯্রােতা পায়রার করাল গ্রাসে ইতোমধ্যে ভাঙ্গন কবলিত এলাকার শত শত পরিবার তাদের বসত বাড়ি ফসলি জমি হারিয়ে এখন অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে। কিছুদিন ভাঙ্গ থামলেও গত সপ্তাহের অতিউচ্চতায় পায়রা নদীতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ার পর নতুন করে আবার ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারন করেছে।

 

জানা গেছে, গত এক সপ্তারের টানা বৃষ্টি এবং সাগরে লঘু চাপের প্রভাবে আমতলী পায়রা নদীতে অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধি এবং স্রোত বেড়ে যাওয়ায় নদী তীরবর্তী অনেক এলাকায় ভাঙ্গ দেখা দেয়। ভাঙ্গনে আমতলীর বালিয়াতলী, পশ্চিম ঘটখালী এবং তালতলী উপজেলার তেতুঁলবাড়িয়া গ্রাম ৩টির প্রায় ৩শ মিটার বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং অর্ধেক পরিমান নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

 

এর আগে ভয়াবহ ভাঙ্গনে ওই এলাকার অনেক ঘড়বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। কিছুদিন ভাঙ্গন থামলেও গত এক সপ্তাহ ধরে আবর নতুন করে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সরেজমিনে ঘুরে দেখাগেছে, উপজেলার তেতুঁলবাড়ীয়া, জয়ালভাঙ্গা, গাবতলী, মৌপাড়া, পচাঁকোড়ালিয়া, বালিয়াতলী, পশুরবুনিয়া, আড়পাঙ্গাশিয়া, পশ্চিম আমতলী, ফেরিঘাট, পুরাতন লঞ্চঘাট,
পানি উন্নয়ন বোর্ড, বৈঠাকাটা, পশ্চিম ঘটখালী ও আঙ্গুলকাটা এলাকার নদী ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারন করেছে।

 

আমতলীর পশ্চিম ঘটখালী গ্রামের পান্না আকন বলেন, । নদী ভাঙ্গনে পশ্চিম ঘটখালী গ্রামের বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ এখন হুমকির মুখে। ভাঙ্গন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। তালতলীর তেতুঁলবাড়ীয়া গামের মো. জসিম হাওলাদার বলেন, জোয়ারের
পানিতে পায়রা নদীর মাটি আগলা হয়ে গেছে। ফলে স্রোতের  সময় ভাঙ্গছে তেতুঁলবাড়িয়া গ্রাম।

 

বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কায়সার আলম বলেন, পায়রা নদীর ভাঙ্গন রোধে নতুন করে প্রকল্প গ্রহন করা হয়েছে। অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু হবে।