আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি: আমতলীর সোনউটা খাল থেকে নিখোঁরে ২দিন পর বুধবার দুপুরে এক
মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধারের পর ময়না তদন্তের জন্য বরগুনার মর্গে পাঠানো
হয়েছে। এঘটনায় মূল হত্যাকারী হৃদয়সহ ২জনকে গ্রেপ্তার করেছে
পুলিশ।
জানা গেছে, আমতলী উপজেলার আমতলী সদর ইউনিয়নের পুজাখোলা
গ্রামের তোফাজ্জেল হোসেন খান এর মেয়ে ইসলামপুর হাসানিয়া
দাখিল মাদরাসার ষষ্ঠ গ্রেণির শিক্ষার্থী জানজিলা বেগম (১২) গত
সোমবার সকাল থেকে নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের ১দিন পর তার বাবা
মো. তোফাজ্জেল হোসেন খান মঙ্গলবার সকালে আমতলী থানায়
নিখোঁজের সংবাদ জানিয়ে একটি সাধারন ডায়েরী করেন। ১দিন পর
বুধবার সকালে স্থানীয়রা পুজাখোলা গ্রামের পাশে অবস্থিত
সোনাউটার খালের পাতাবনে তানজিলার লাশ পরে থাকতে দেখে পুলিশকে
খবর দেয়। পুলিশ দুপুর ১টার দিকে তার লাশ উদ্ধার করে। লাশ উদ্ধারের
পাশাপাশি পুলিশ পুজাখোলা গ্রামে তাৎক্ষনিক অভিযান চালিয়ে
ঘটনার মূলহত্যাকারী একই গ্রামের প্রতিবেশী শহিদুল খানের ছেলে
হৃদয় খান (২০) এবং তার সহযোগী ছোবহানের খানের ছেলে জাহিদুলকে
(১৯) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুজাখোলা গ্রামের বাসিন্দা ফোরকান হাওলাদার জানান, হৃদয়খান ও
জাহিদুল এলাকায় বখাটে এবং মাদকসেবী হিসেবে পরিচিত। তারা
বিভিন্ন খারাপ কাজের সাথে জড়িত। মাদকাসক্ত হওয়ায় এলাকার মানুষ
তাদেরকে ভয় পায়। আমারা এই হত্যার বিচার চাই।
নিহত তানজিলা বেগমের বাবা তোফাজ্জেল হোসেন খান জানান, মোর
মাইয়াডা সোমবার সকালে ঘড় থেকে বাইর অওয়ার পর আর হ্যারে পাইনাই।
আইজগো লাশ পাইছি। মোর মাইয়াডারে হৃদয় ১৫ লাখ টাহার লইগ্যা
মাইর্যা হালাইছে। মুই অর ফাঁসি চাই।
নিহত তানজিলা বেগমের মা রেবেকা বেগম কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন,
মোর মাইয়াডায় কি দোষ করছিল যে অরে মাইর্যা হলান লাগবে। মুই
এইআর কঠিন শাস্তি চাই।
আমতলী থানার ওসি তদন্ত আমির হোসেন সেরনিয়াবাদ জানান ধারনা
করা হচ্ছে ঘাতকরা শ্বাস রোধে হত্যার পর তানজিলার লাশ গুমের জন্য
পাতাবনে ফেলে রাখে।
লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে বরগুনার পুলিশ সুপার মো. আবদুস ছালাম ও
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী শাখয়াত হোসেন তপু বুধবার
দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
আমতলী আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী শাখয়াত হোসেন
তপু বলেন, খুনের মূল হোতা প্রতিবেশী হৃদয়খান এবং তার সহযোগী
জাহিদুল নামে দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য
বরগুনার মর্গে পাঠানো হয়েছে।