• ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

আগৈলঝাড়ায় স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ

বিডিক্রাইম
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ১১, ২০২১, ১৯:৫১ অপরাহ্ণ
আগৈলঝাড়ায় স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ

বিডি ক্রাইম ডেস্ক, বরিশাল: বরিশালের আগৈলঝাড়ায় মিতালী হালদার (২৩) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার থানেশ্বরকাঠী গ্রামের মিন্টু বৈদ্যর বাসার ঘরের আড়া থেকে এ গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয় ।

নিহত মিতালী হালদার ঐ উপজেলার থানেশ্বরকাঠী গ্রামের মিন্টু বৈদ্যর স্ত্রী ও বাগধা ইউনিয়নের আস্কর গ্রামের অমৃত হালদারের মেয়ে।

এ ঘটনায় শুক্রবার রাতেই স্বামী মিন্টু বৈদ্য ও শ্বাশুড়ি পুষ্প বৈদ্যকে আসামী করে আগৈলঝাড়া থানায় আত্নহত্যার প্ররোচণার অভিযোগ এনে নিহত মিতালীর মা ফুলমালা হালদার বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন । থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাজহারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ।

 

মৃত গৃহবধূর পরিবারের অভিযোগ ও থানা সূত্রে জানা গেছে প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে ৮বছর পূর্বে মিন্টু বৈদ্যর সাথে মিতালী হালদারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়।

তবে বিয়ের ৬মাস পর থেকে বিভিন্ন সময় যৌতুকের জন্য মিতালীকে স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন নির্যাতন করত। সম্প্রতি মিন্টু বৈদ্যর সাথে অন্য একটি মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।

এ ঘটনা মিতালী জানার পর স্বামীকে বাঁধা দেওয়ায় তার উপর নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যায়। শুক্রবার সন্ধ্যায় ঐ ঘটনা নিয়ে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজনের সাথে বাকবিতন্ডা হলে মিতালীকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে ওড়না দিয়ে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে যায় স্বামীসহ তার পরিবারের লোকজন।

পরে মিতালীর পরিবার জানতে পেরে তাঁরা পুলিশকে সংবাদ দিলে থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাজহারুল ইসলাম ও উপপরিদর্শক নাসির উদ্দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।

নিহত গৃহবধূর মা ফুলমালা জানান, স্বামীর পরকিয়া সম্পর্ক জানার পর মিতালী তার স্বামীকে বাঁধা দেয় । এতে তাঁর উপর নির্যাতন চালানো হত। শুক্রবার সন্ধ্যায় বালিশচাপা দিয়ে হত্যা করে ঘরের আড়ার সঙ্গে মিতালীকে ঝুলিয়ে পালিয়ে যায় স্বামীসহ তাঁর পরিবারের লোকজন।

আগৈলঝাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাজহারুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পৌছে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে । তিনি আরও জানান, স্থানীয়দের সাথে কথা বলে প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

এ ঘটনায় মৃত ওই গৃহবধূর মা ফুলমালা হালদার বাদী হয়ে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে স্বামী মিন্টু বৈদ্য ও শ্বাশুড়ি পুষ্প বৈদ্যর নামে থানায় মামলা দায়ের করেন। শনিবার সকালে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।