আমতলী প্রতিনিধি॥ জুলুমবাজ পলাতক পতিত শেখ হাসিনার সরকারকে ছাত্র জনতা ও সকল বিরোধী দল মিলে উৎখাত করেছে। তাদের এদেশে রাজণীতি করার কোন অধিকার নাই।
তিনি আরো বলেন, বিএনপির যে সকল নেতা-কর্মীরা অত্যাচার নির্যাতনের শিকার হয়েছে তাদের দলের পদ-পদবী দেয়া হবে। আমতলী উপজেলা বিএনপির কর্মী সভায় এ কথা বলেন,বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল -বিএনপির কেন্দ্রীয় জাতীয় নির্বাহী কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সহ-সম্পাদক কাজী রওনাকুল ইসলাম টিপু।
মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় স্থানীয় চৌরাস্তা মোর এলাকার একটি কমিউনিটি সেন্টারে বিএনপির কর্মীসভায় প্রধান অতিথির বক্তেব্যে উপরোক্ত কথা বলেন।
উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক (ভারপ্রাপ্ত) মো.জহিরুল ইসলাম মামুনের সভাপতিত্বে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো.তুহিন মৃধার সঞ্চনালয়ে কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় জাতীয় নির্বাহী কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সহ-সম্পাদক কাজী রওনাকুল ইসলাম টিপু।
সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন বরগুনা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. নজরুল ইসলাম মোল্লা।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরগুনা জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি এজেড এম সালেহ ফারুক, জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ূন হাসান শাহিন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কেন্দ্রীয় আইনজীবি ফোরোমের সম্পাদক ও সাবেক আমতলী উপজেলা বিএনপির আহবায়ক এ্যাডভোকেট গাজী তৌহিদুল ইসলাম।
কর্মীসভায় উপজেলার সকল ইউনিয়নের ওর্য়াড শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন বিএনপির নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন ।
কর্মীসভা চলাকালে আমতলী উপজেলা বিএনপির সাবেক বহিস্কৃত সভাপতি মো. জালাল উদ্দিন ফকিরের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবী করে সহা¯্রাধিক বিএনপি ও অংঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ করে
কর্মী সভার প্রধান অতিথি কাজী রওনাকুল ইসলাম টিপুর সাথে দেখা করেন।
বহিস্কৃত সাবেক সভাপতি মো. জালাল উদ্দিন ফকির বলেন, একটি মিথ্যা বানোয়াট অডিও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নিকট দাখিল করে আমার প্রতিক্ষ গ্রুপ ফায়দা নিয়েছে। আমি ২০টি মামলার আসামী।
আমার সাথে ১২শ’ নেতা কর্মী আসামী ছিল। তাদের নিয়ে আমি সবসময় ফ্যাসিষ্ট আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। আমি আমার বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবী জানাই। বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেন পৌর বিএনপি ও যুবদলের আহবায়ক মো. কবির উদ্দিন ফকির।