• ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ , ১৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি যানবাহনগুলো চরম ভোগান্তিতে

বিডিক্রাইম
প্রকাশিত মে ৯, ২০২১, ১৭:৩৮ অপরাহ্ণ
অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি যানবাহনগুলো চরম ভোগান্তিতে

বিডি ক্রাইম ডেস্ক॥ বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে ১/২টি ফেরি চললেও ঘাটে দীর্ঘসময় আটকে অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি যানবাহনগুলো চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। জরুরি রোগীরা ঢাকা ও দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলো থেকে মোটরসাইকেল, ৩ চাক্কার যানবাহনে এসে ঘাটে ও গন্তব্যে কয়েকগুণ ভাড়া গুনে পৌঁছচ্ছেন। ঘাটে যাত্রীর সঙ্গে যানবাহনের দীর্ঘ সাড়ি রয়েছে। যাত্রী আর যানবাহনে সয়লাব হয়ে গেছে পদ্মার পাড়।

এদিকে মাছ ও তরমুজসহ কাঁচামালে পচন ধরায় বাংলাবাজার ঘাটে বিআইডব্লিউটিসি ও পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেছে।

বিআইডব্লিউটিসিসহ ঘাট সূত্রে জানা যায়, কোনো বিধি নিষেধই মানতে চাইছেন না দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীরা। সকাল থেকে এ পর্যন্ত বাংলাবাজার ঘাট থেকে দুইটি ফেরি অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি যানবাহন নিয়ে পার হয়। তবে যাত্রীদের চাপে জরুরি যানবাহন তোলা পুলিশ ও বিআইডব্লিউটিসিকে বেগে পড়তে হয়। সকাল থেকেই উভয় পাড়ে যাত্রী ও যানবাহনের প্রচণ্ড ভিড় শুরু হয়। বেলা বাড়ার সাথে যাত্রী ও যানবাহনে সয়লাব হয়ে যায় ঘাট এলাকা।

ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফেরির জন্য অপেক্ষা করছেন যাত্রী ও যানবাহনগুলো। দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলো থেকে রোগী নিয়ে বাংলাবাজার ঘাটে এসে অ্যাম্বুলেন্সগুলোকেও দেখা গেছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে। জরুরি সার্ভিস পারাপারে বিলম্ব হওয়ায় সাধারণ যাত্রীদের পাশাপাশি রোগীরাও চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

ট্রাকচালক হায়দার আলী জানান, প্রায় চার দিন যাবত তরমুজ নিয়ে ঘাটে বসে আছি। পকেটে খাবার টাকা নেই। রাতে কাঁচামাল পার করার কথা কিন্তু তাও পার হতে পারছি না। সারা রাতই ট্রাকগুলো একপাশে রেখে প্রাইভেটকার ও যাত্রী পার করছে ফেরি কর্তৃপক্ষ। পুলিশও আমাদের সিরিয়াল দিচ্ছে না।

খুলনা থেকে বাংলাবাজার ঘাটে আসা যাত্রী আয়শা বেগম জানান, নিকট এক আত্মীয় হাসপাতালে ভর্তি। জরুরি কারণে ঢাকা যাব। ভোররাতে সেহরি খেয়ে রওয়ানা দিয়েছি। প্রায় দেড় হাজার টাকা ব্যয় করে বাংলাবাজার ঘাটে এসে পৌঁছেছি। আজকেও এসে দেখি ঘাটে ফেরি বন্ধ। কখন ওপার যেতে পারবো তাও জানি না।

অ্যাম্বুলেন্সচালক রফিকুল ইসলাম জানান, মুমূর্ষু এক রোগী নিয়ে বরিশাল থেকে সকাল ৭টায় বাংলাবাজার ঘাটে এসে পৌঁছেছি। গাড়ির মধ্যে রোগীর অবস্থা খুবই খারাপ। রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে ফেরি ছাড়ার কথা বললেও ছাড়ছে না সময় মতো। ২/১টি ফেরি আসলেও যাত্রীদের চাপে অ্যাম্বুলেন্স উঠানো যাচ্ছে না। ঢাকায় কখন পৌঁছাতে পারবো তা জানি না।

বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ঘাটের ম্যানেজার মো. সালাউদ্দিন জানান, লকডাউনের জন্য এ রুটের ফেরি চলাচল বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ। তবে লাশ, রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স, জরুরি সেবামূলক ও পণ্যবাহী পরিবহন পারাপারে ফেরি চলাচল করবে বলে জানিয়েছে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ।