স্বপন কুমার ঢালী, বেতাগী॥ পৌষের তীব্র শীতের মধ্যেও দুদিন ধরে অকাল বৃষ্টিতে ক্ষতির শিকার হয়েছে উপকূলের কৃষকদের। বিশেষ করে রবি ফসলের চাষিরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন। দুইদিনে বৃষ্টি যা হয়েছে এরপর আরো ভারী বৃষ্টিপাত হলে আরও ক্ষয়-ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।
স্থানীয় কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, বেতাগী উপজেলায় ১১ হাজার ৭৫ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করা হয়েছে। এছাড়া রবি মৌসুমে ফসলে ৩৩০ হেক্টর, ১৫৫ হেক্টর গম, ১৭০ হেক্টর ভুট্টা এবং ৩২৫ হেক্টর জমিতে আলু চাষ করা হয়েছে। আর সবজি ২ হাজার ১১৫ হেক্টর শীতকালীন সবজি চাষ করা হয়েছে। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে সরিষা, বেগুন, আলু, মরিচ, শিম ও শাকসবজি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, অসময়ের বৃষ্টিতে অনেক স্থানে ফসল মাটিয়ে লুটিয়ে পড়েছে। এ ছাড়া যেসব খেতের সবজি এখনো ভালো রয়েছে, তা রক্ষায় প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন কৃষকেরা। কয়েকজন কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত সবজিও দেখান। আরও বৃষ্টি হলে তাঁরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে জানিয়েছেন। বেতাগী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কৃষক রফিকুল ইসলাম, স্বপন মোল্লা ও অনিল ঢালী বলেন, আমরা শীতের সবজি চাষ করেছি। বৃষ্টিতে মাঠের ধান ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অনেক জমির ধান হেলে পড়েছে।
বিবিচিনি ইউনিয়নের পুটিয়াখালী গ্রামের কৃষক সুকুমার হাওলাদার (৭৬) বলেন, বৃষ্টিতে মাঠের ধান মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে ‘দুদিনের বৃষ্টির কারণে সবজি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছি। ভারী বৃষ্টি হলে পানি জমে ক্ষতি হতে পারে। স্থানীয়ভাবে কৃষি বিভাগের লোকজন থাকলেও তাঁরা মাঠে আসেন না।
এই বৃষ্টিতে রবি ফসলের খুব বেশি ক্ষতির সম্ভাবনা নাই বলেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানজিলা আহমেদ। কৃষি কর্মকর্তা তানজিলা আহমেদ বলেন,’ গত দুদিনের বৃষ্টিতে মাঠের উঠতি আমন ধান মাটিতে হেলে পড়েছে। আরও ভারী বৃষ্টি হলে ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে।