• ১৮ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২রা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ২৫শে রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

অন্ধকার যুগ থেকে আলোর পথে

অবশেষে ২৪ ঘন্টা বিদ্যুতের আওতায় আসছে মনপুরা উপকূল

বিডিক্রাইম
প্রকাশিত অক্টোবর ১০, ২০২৫, ১৭:০৮ অপরাহ্ণ
অবশেষে ২৪ ঘন্টা বিদ্যুতের আওতায় আসছে মনপুরা উপকূল

Oplus_16908288

আবদুল্লাহ জুয়েল, মনপুরা॥ ভোলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা মনপুরার বাসিন্দারা যুগ যুগ ধরে বিদ্যুৎ সমস্যায় জর্জরিত। দিনে-রাতে এই উপকূলের বাসিন্দারা ৩ ঘন্টার বেশি বিদ্যুৎ পেতো না।

এই নিয়ে এই উপকূলের বাসিন্দারা আন্দোলন সংগ্রাম করেছে অনেকদিন ধরে। একমাত্র বিদ্যুতের কারনে এই উপকূলের জীবনমান ও সামগ্রীক উন্নয়ন থমকে রয়েছে।

অবশেষে অভিশাপ মুক্ত হয়ে অন্ধকার যুগ থেকে আলোর পথে ফিরছে মনপুরা উপকূল। নদীর তলদেশে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে জাতীয় গ্রীডের সাথে সংযুক্ত করে ২৪ ঘন্টা বিদ্যুতের আওতায় আনা হবে মনপুরা উপকূলের এই দুর্গম জনপদকে এমন কথাই জানালেন বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নূর আহমদ ও অতিরিক্ত সচিব (নবায়নযোগ্য জ্বালানি অনুবিভাগ) কে.এম আলী রেজা।

শুক্রবার সকালে দুই অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে এবং বিদ্যুৎ বিভাগের বিভিন্ন দপ্তরের উধ্বর্তন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি প্রতিনিধি দল মনপুরা সফর করেন।

পরে দুপুর সাড়ে ১১ টায় উপজেলা হলরুমে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফজলে রাব্বির সভাপতিত্বে স্থানীয় রাজনৈতিক, সুশীল সমাজ ও সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা করেন সচিবদ্বয়। এই সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্ধ ও স্থানীয় সাংবাদিকরা মনপুরার বিদ্যুৎ সমস্যা নিয়ে বক্তব্য উপস্থাপন করেন।

পরে অতিরিক্ত সচিব নুর আহমদ বলেন, মনপুরার মানুষ যেন ২৪ ঘন্টা বিদ্যুৎ সুবিধা পায় সেই জন্য দুইটি টেকনিক্যাল রুট বিবেচনা আছে।

একটি তজুমুদ্দিন উপজেলা থেকে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে চরকলাতলী হয়ে মনপুরা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংযোগ করা। অপরটি হলো চরফ্যাসন উপজেলা থেকে নদীর তলদেশ দিয়ে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে সরাসরি মনপুরায় বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপন করা।

অতিরিক্ত সচিব কেএম আলী রেজা বলেন, সাবমেরিন ক্যাবলের পাশপাশি আমরা নবায়নযোগ্য শক্তির সমান্তরাল ব্যবহারের বিষয়টি বিবেচনা করছি।

যাতে মনপুরা উপকূলে প্রাকৃতিক দুর্যোগেও এই উপকূলের মানুষ অন্ধকারে যেন না থাকে। এই সময় উপস্থিত থেকে মনপুরাকে জাতীয় গ্রীডের আওতায় আনতে দ্রুত বাস্তবায়নের দাবী করেন মনপুরা উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক মফিজুর রহমান মিলন মাতাব্বর, মনপুরা জামায়াত ইসলামীর আমীর মাও. আমীমুল ইহসান জসীম, মনোয়ারা বেগম মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মাহবুবুল আলম শাহীন ও প্রেসক্লাব সভাপতি অহিদুর রহমান।

এই সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, শেখ জাকিরুজ্জামান, ব্যবস্থপরাপরিচালক (ওজোপাডিকো), নির্বাহী পরিচালক (ওজোপাডিকো) প্রকৌশলী রোকনুজ্জামান, পরিচালক মনিরুজ্জামান, পরিচালক মোঃ আবদুল আজিজ, উপসচিব মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, নির্বাহী প্রকৌশলী নুর মোহাম্মদ ও সিনিয়ার সহকারি সচিব হাসান সাদী।