• ৭ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২২শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ১৫ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

‘সাংবাদিকদের সত্য লিখে সমাজের উপকার করতে হবে’

বিডিক্রাইম
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৩, ১৮:৪৬ অপরাহ্ণ
‘সাংবাদিকদের সত্য লিখে সমাজের উপকার করতে হবে’

বিডি ক্রাইম ডেস্ক,বরিশালঃসাংবাদিকদের সমাজ খুব উচ্চস্তরের মানুষ মনে করে উল্লেখ করে প্রেসকাউন্সিল চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম বলেছেন, সাংবাদিকতার একটি সঠিক মান থাকবে। তাদের জন্য সব দরজা খোলা।

সত্য কথা লিখে সমাজের উপকার করতে হবে। এমনও সঠিক-সত্য সংবাদ আছে যা প্রকাশে দাঙ্গা-অস্থিরতা সৃষ্টি হয় তা বর্জন করতে হবে।তিনি আরও বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রয়োগ শুধু সাংবাদিকদের জন্য করা হয়নি। ডিজিটাল যুগকে নিয়ন্ত্রণের জন্য করা হয়েছে। সাংবাদিকদের পরিচিতি বেশি তাই অ্যাকশনটা তাদের ওপরেই হয়। এ আইনে কোনো সাংবাদিককে গ্রেফতার করা হবে না, এমন একটি প্রশাসনিক আদেশ সব দপ্তরে দেওয়া আছে। তবে আইন আকারে পাস করা হয়নি।

আইন পাস করতে হবে জাতীয় সংসদে। তাহলেই কোনো সাংবাদিক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে হয়রানি হবেন না।

ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ‘সাংবাদিকতার নীতি ও নৈতিকতা এবং প্রেসকাউন্সিল আইন ও আচরণবিধি’ বিষয়ক দিনব্যাপী সেমিনার ও প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও সাবেক বিচারপতি মো. নিজামুল হক এসব কথা বলেন।

নিজামুল হক বলেন, দেশের অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি সংসদে পাস করা হয়। তখন সরকার মনে করেছে, তারা সেটি করেছে। এখন বিভিন্ন স্থানে যাওয়ার পরে জানতে পারছি, আইনটি সাংবাদিকদের পেশায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। তবে বর্তমান সরকার প্রশাসনিকভাবে জানিয়েছে, যেন কোনো সাংবাদিকের ওপর আইনটি প্রয়োগ করা না হয়।

এদিকে কর্মশালায় সাংবাদিকদের নীতি ও নৈতিকতা এবং প্রেস কাউন্সিল আইন ১৯৭৪ সম্পর্কিত নানা বিষয় তুলে ধরে প্রেস কাউন্সিল গঠনের পটভূমি, ইতিহাস, কাউন্সিল গঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।

এছাড়া জেলার সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যানের মুক্ত আলোচনার মাধ্যমে কর্মশালাটি শেষ হয়।

সেমিনার ও প্রশিক্ষণ কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. রুহুল আমীন। বক্তব্য দেন প্রেস কাউন্সিলের সচিব মাসুদ খান, সদস্য এম জি কিবরিয়া চৌধুরী, ঝালকাঠির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাইনুল হক।

সেমিনারে জেলায় কর্মরত ৫০ জন সাংবাদিক অংশ নেন। পরে তাদের মধ্যে সনদ বিতরণ করা হয়।