যেখানে দেখা যায়, এক ব্যক্তি আরেক ব্যক্তির মাথা ঝুঁকিয়ে জুতা দিয়ে একের পর এক বাড়ি মারছেন। আর বলছেন, ‘বোতল কোথায়?’। জবাবে ওই ব্যক্তি জানান, তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না। একটু খেয়াল করলেই বোঝা যায়, ভিডিওতে যিনি জুতাপেটা করছেন, তিনি রাহাত ফতেহ আলি খান।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম সামা টিভি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে অনেকে মনে করছিলেন, ঘরের সাহায্যকারী কর্মীকে এমন মারধর করছেন রাহাত। যা না নিয়ে ঘোর নিন্দাও প্রকাশ করছে নেটিজেনরা।
তবে সমালোচনার মুখে একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন রাহাত ফতেহ আলি খান। জানালেন, ঘরের কর্মী নয়, বরং ওই ব্যক্তি তার ছাত্র বা শিষ্য।
রাহাত বলেন, ‘এটা গুরু ও শিষ্যের মধ্যকার ব্যক্তিগত বিষয়। সে আমার ছেলের মতো। একজন শিক্ষক ও তার ছাত্রের মধ্যে সম্পর্ক এমনই। কোনও ছাত্র ভালো কিছু করলে, আমি তাকে ভালোবাসা দেই। যদি সে ভুল করে, তাকে শাস্তি দেওয়া হয়। ’
মার খাওয়া ছাত্রও জানিয়েছেন, তিনি একটি বোতল ভুল জায়গায় রেখেছিলেন, যেটার ভেতরে পবিত্র পানি ছিল।
তার ভাষ্য, ‘তিনি (রাহাত) আমার বাবার মতো। আমাকে অনেক ভালোবাসেন। যিনি ওই ভিডিও ছড়িয়েছেন, তিনি আমার গুরুর সম্মানহানির চেষ্টা করছিলেন। ’