• ২৯শে নভেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ , ১৪ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ , ১৪ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

লালমোহনে কারিগরি এইচএসসি (বিএমটি) পরীক্ষা কেন্দ্রে জালিয়াতি

বিডিক্রাইম
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৩, ২২:৩৮ অপরাহ্ণ
লালমোহনে কারিগরি এইচএসসি (বিএমটি) পরীক্ষা কেন্দ্রে জালিয়াতি

লালমোহন (ভোলা) প্রতিনিধি ॥ লালমোহনে কারিগরি এইচএসসি (বিএমটি) পরীক্ষা কেন্দ্রে জালিয়াতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। একটি অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানের নামে জালিয়াতির মাধ্যমে চলে আসছে প্রক্সি পরীক্ষা। তা সত্ত্বেও কেন্দ্রের দায়ীত্বপ্রাপ্ত সচিব, হল সুপার ও কক্ষ পরদির্শকগণ নিরব ভূমিকা পালন করেন।

বৃহস্পতিবার এমন একটি অভিযোগ পেয়ে বিএমটি পরীক্ষা কেন্দ্রের ভেন্যু লালমোহন সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে স্থানীয় সাংবাদিকরা গেলে কেন্দ্রের সকলেই দায়ীত্ব এড়িয়ে প্রক্সি পরীক্ষার্থীকে ধরেও আটক না করে পালিয়ে যেতে সহায়তা করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অনিয়মের এই মূল হোতা কেন্দ্র সচিব ধলীগৌরনগর কলেজের অধ্যক্ষ মো. আকবর হোসেন। তার আপন ভাই মো. সাইফুল ইসলামের প্রতিষ্ঠান ‘লালমোহন টেকনিক্যাল বিজনেস ম্যানেজম্যান্ট কলেজ’। পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডে প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা বললেও আদৌ ওই ওয়ার্ডে এধরণের কোন প্রতিষ্ঠানের খোঁজ পাওয়া যায়নি। সেখানে এই নামে কোন প্রতিষ্ঠান কিংবা প্রতিষ্ঠানের কোন শিক্ষক, শিক্ষার্থী বা ক্লাস করতে কাউকে কখনো দেখেননি বলেও জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তবুও ওই প্রতিষ্ঠানের নামে চলতি বিএম পরীক্ষায় ৯১ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে বলে জানান প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মো. সাইফুল ইসলাম। এর মধ্যে প্রথম সেমিস্টারে ৩৭জন ও দ্বিতীয় সেমিস্টারে ৫৪ জন। তিনি আরো জানান, ২০১০ সালে এটি প্রতিষ্ঠা হয়। পাঠদানের অনুমতি পায় ২০১৪ সালে। যার ইআআইএন নং ১৩৭০৭২।

বিএমটি শাখার কেন্দ্র ধলীগৌরনগর কলেজ হলেও এর ভেন্যু লালমোহন সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়। বৃহস্পতিবার কম্পিউটার অফিস এপ্লিকেশন বিষয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এখানে লালমোহন টেকনিক্যাল বিজনেস ম্যানেজম্যান্ট কলেজসহ মোট ৪টি টেকনিক্যাল বিএম কলেজ পরীক্ষা দিয়ে আসছে। কেন্দ্র সচিব মো. আকবর হোসেনকে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রে পাওয়া যায়নি।

তার অনুপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত কেন্দ্র সচিব ধলীগৌরনগর কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল মো. সামছুদ্দিন জানান, প্রক্সির বিষয়টি আমার নজরে আনা হয়নি। তবে কক্ষের দায়ীত্বপ্রাপ্ত দুই শিক্ষকের কাছে জানতে চাইলে তারা জানিয়েছেন ওই পরীক্ষার্থী ৩০ মিনিট পর খাতা রেখে চলে গেছে।