মেহেন্দিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ মেহেন্দিগঞ্জের পাতারহাটে একটি প্রতারক চক্র অভিনব কায়দায় প্রতারণার ফাঁদ পেতেছে হোটেল-রেস্তোরার মালিকদের টার্গেট করে।
প্রতারক চক্রটি গত কয়েক দিন যাবত খাবার হোটেল ও রেস্তোরার মালিকদের ফোনে ডিভাইসের মাধ্যমে মেয়েলি কন্ঠে খাবার অর্ডার করেন। স্থানীয় সোনামুখী গ্রামের জনৈক খালেক মাঝির বাড়ির নাম করে অর্ডার দেওয়া হয়।
অর্ডারকৃত খাবার ডেলিভারি দিতে গিয়ে জানা যায় সেখান থেকে কোনো অর্ডার দেয়া হয়নি। খাবার ফেরত আনার পথে কিছু কিশোর খাবারগুলো লুটে নেয়।
এরকম একটি ঘটনা ঘটেছে শনিবার সন্ধ্যায় পাতারহাট বন্দরের ফায়ার সার্ভিস সংলগ্ন নতুন চালু হওয়া ঢাকা বিরানি হাউজের মালিকের সাথে।
দোকান মালিক জানান, ০১৩০২৩৪১৩৯৬ এই মোবাইল নাম্বার থেকে একজন মেয়ে কন্ঠে তাকে ৫ প্লেট মুরগি পোলাও, ৫ প্লেট তেহেরি, খাসির কাচ্চি ৫ প্লেট ও ২ লিটার কোলড্রিংস অর্ডার দেয় পৌর এলাকার ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা খালেক মাঝির বাড়ির নামে।
অর্ডারকৃত খাবারগুলো লোক মারফত পাঠানো হলে খালেক মাঝি কিছুই জানেন না বলে জানায়। পরবর্তীতে খাবার গুলো ফেরত আনার পথে পথিমধ্যে কতিপয় কিশোর সেগুলো ছিনিয়ে নেয় এবং হোটেল কর্মচারীর মোবাইল ফোনটিও নিয়ে যায়।
ঘটনাটি খালেক মাঝির সামনেই ঘটে, তিনি প্রতিবাদ করলেও কোনো কাজ হয়নি। পরে মোবাইলটি ফেরত দেওয়া হয়।
এ ঘটনা জানাজানি হলে বেরিয়ে আসে এই চক্রের আরো একাধিক ঘটনা। স্থানীয় পাতারহাট থানার পোল সংলগ্ন আদি মধুমিতা গ্রীল এন্ড বিরিয়ানী হাউজের মালিক আলামিন জমাদ্দার জানান, একই ঘটনা ঘটেছে তার সাথেও।
গত ১৫ দিন আগে মেয়ে কন্ঠে একজন তার কাছে ফোন দিয়ে বলেন, তাদের বাড়িতে জন্মদিনের পার্টি আছে, তাই সন্ধ্যায় ১৫ পিচ গ্রীল, ২০ পিচ নান রুটি, ১৫ পিচ বার্গার এবং ২০ পিচ পেপসি পাঠাতে অনুরোধ করেন এবং ডেলিভারি ম্যানের নিকট বিল পরিশোধ করে দেবার কথা জানান। কিন্তু খাবার নিয়ে ডেলিভারি ম্যান সোনামুখির খালেক মাঝির বাড়িতে গেলে বাদে বিপত্তি।
তারা জানান, তাদের বাড়ি থেকে কেউ খাবার অর্ডার করেনি। ডেলিভারি ম্যান পরিচিত হওয়ায় পার্সেলকৃত খাবারগুলো কেউ ছিনিয়ে নিতে সাহস করেনি।
এ ছাড়াও একই ধরনের প্রতারনা শিকার হয়েছে নান্না বিরিয়ানি হাউজের মালিকও। হোটেল মালিকরা এ ব্যাপারে স্থানীয় কাউন্সিলরকে প্রতারিত হবার বিষয়টি অবহিত করেছেন। এলাকাবাসী দ্রুত এই প্রতারক চক্রটিকে আইনে আওতায় আনতে প্রশাসনের প্রতি জোর দাবী জানান।