অনলাইন ডেস্ক:
মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলের ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী দেশ চীন খুবই সতর্ক প্রতিক্রিয়া দিয়েছে।
বিবিসির এক খবরে বলা হয়, চীন সরকারের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত আলাদাভাবে কোনো বক্তব্য বা বিবৃতি দেয়া হয়নি।
তবে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র তাদের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে সংক্ষিপ্ত এবং সতর্ক প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন।
মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেন, ‘মিয়ানমারের ঘটনাবলির দিকে চীন নজর রাখছে, এবং ঘটনার বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছে।’
সোমবার ভোরে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশে জরুরি অবস্থা জারি করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। দেশটির ক্ষমতাসীন দলের নেত্রী অং সান সু চি, মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট ও আরও কয়েকজন মন্ত্রীকে আটক করা হয়েছে।
এর মধ্যে সু চি সরকারের ২৪ জন মন্ত্রী, উপমন্ত্রী এবং প্রতিমন্ত্রীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে নতুন ১১ জন মন্ত্রী নিয়োগ করা হয়েছে।
চীনা মুখপাত্র বলেন, ‘চীন মিয়ানমারের বন্ধুপ্রতিম প্রতিবেশী এবং আমরা আশা করি দেশের সাংবিধানিক এবং আইনি কাঠামোর মধ্যে মিয়ানমারের বিভিন্ন পক্ষ তাদের মতভেদ দূর করবে এবং রাজনৈতিক এবং সামাজিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করবে।’
মিয়ানমারের সঙ্গে চীনে দীর্ঘ ২ হাজার ২০০ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে যার বেশ কিছু অংশে মিয়ানমারে সশস্ত্র কিছু বিদ্রোহী গোষ্ঠী তৎপর।
তাছাড়া উচ্চাভিলাষী বেল্ট অ্যান্ড রোড প্রকল্পের জন্য চীনের কাছে মিয়ানমার খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি দেশ। চীন গত বছরগুলোতে মিয়ানমারের বিভিন্ন অবকাঠামো প্রকল্পে প্রচুর বিনিয়োগ করেছে।
চীনের ইউনান প্রদেশ প্রদেশ থেকে মিয়ানমারের পশ্চিম উপকূল পর্যন্ত একটি রেল লাইন নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে যার জন্য চীন প্রায় ৯০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে।
গত মাসের মাঝামাঝি চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই মিয়ানমার সফরে গিয়েছিলেন। ওই সফরে তিনি অং সান সুচি সহ মিয়ানমারের সেনা নেতৃত্বের সাথেও বৈঠক করেন।
এ ছাড়া ২০২০ সালের শুরুতে মিয়ানমার সফর করেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং। সেখানে সু চির সঙ্গে বৈঠক হয় তার।