বিডি ক্রাইম ডেস্ক, বরিশাল: দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে মা-ছেলেকে অপহরণ মামলা গোয়েন্দা পুলিশে (ডিবি) হস্তান্তর করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চিরিরবন্দর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুব্রত কুমার সরকার।
এর আগে গতকাল বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টায় সাদা মাইক্রোবাসে করে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে এএসপি সারোয়ার কবীরসহ পাঁচজনকে আদালতে নেওয়া হয়।
দিনাজপুর আমলি আদালতের-৪-এর বিচারক শিশির কুমার বসু সন্ধ্যায় তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। একইসঙ্গে অপহরণের শিকার মা ও ছেলেকে ছেড়ে দেওয়ারও আদেশ দেন আদালত।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী লুৎফর রহমানের ভাই খলিলুর রহমান বাদী হয়ে চিরিরবন্দর থানায় একটি অপহরণ মামলা করেছেন। এ মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
এর আগে গত ২৩ আগস্ট রাতে সিআইডির তিনজন নান্দেরাই গ্রামের লুৎফর রহমানকে ধরতে যান। তাকে না পেয়ে তার স্ত্রী ও ছেলেকে বাড়ি থেকে তুলে নেন। পরে মুক্তিপণ দাবি করেন।
এ ঘটনায় পরের দিন মঙ্গলবার সকালে লুৎফর রহমানের ভাই খলিলুর রহমান চিরিরবন্দর থানায় ৬ থেকে ৭ জনের নামে অভিযোগ করেন।
লুৎফর রহমানের স্বজনেরা মুক্তিপণের টাকা নিয়ে দিনাজপুরের দশমাইল এলাকায় অপহরণকারীদের সঙ্গে দেখা করতে গেলে স্থানীয় জনতা তাদের আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন। পরে আজ বুধবার অভিযোগটি মামলা আকারে গ্রহণ করে চিরিরবন্দর থানা।।
সহকারী পুলিশ সুপার সারোয়ার কবির ও কনস্টেবল আহসানুল হক আটকের পর পুলিশ জানতে পারে অপহরণকারীদের মধ্যে রংপুর জোনের সিআইডি পুলিশের এএসপি সারোয়ার কবীর, এএসআই হাসিনুর রহমান, কনস্টেবল আহসান উল ফারুক ও চালক হাবিবুর রয়েছেন।
এ ঘটনা জানাজানি হয় গতকাল বুধবার সকালে। তখন অপহৃত জহুরা বেগম ও ছেলে জাহাঙ্গীরকে ডিবি অফিসে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়।
এদিকে,রংপুর সিআইডির পুলিশ সুপার আতাউর রহমান জানিয়েছেন, অভিযুক্তরা কোনো প্রকার অনুমতি না নিয়ে সেখানে (চিরিরবন্দর) গেছে। তাদের আটকের বিষয়টি শুনেছি।
তারা কেন সেখানে গেছে, কাকে অপহরণ করেছে, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় খোঁজখবর নিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রংপুর সিআইডির কাছে পলাশ নামে এক ব্যক্তি চিরিরবন্দর উপজেলার আব্দুলপুর ইউনিয়নের নান্দেড়াই গ্রামের লুৎফর রহমানের বিরুদ্ধে ৫০ লাখ টাকার প্রতারণার অভিযোগ আনেন।
এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ২৩ আগস্ট রাতে সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার সারোয়ার কবীর সোহাগ, এএসআই হাসিনুর রহমান ও কনস্টেবল আহসান উল ফারুক ও চালক হাবিবুব লুৎফরের বাড়িতে যান। তাকে না পেয়ে তার স্ত্রী ও ছেলেকে তুলে নিয়ে যান তারা।