মালিতে একটি যাত্রীবাহী নৌকা ও সেনা ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে সশস্ত্র জঙ্গি দল।
অন্তর্বর্তী সরকার জানিয়েছে, উত্তর-পূর্ব মালিতে একটি নদীতে নৌকায় হামলা চালিয়ে অন্তত ৪৯ জন বেসামরিক নাগরিক এবং সেনা ঘাঁটিতে হামলা চালিয়ে ১৫ জন সেনা সদস্যকে হত্যা করেছে ইসলামপন্থি জঙ্গিরা। এই ঘটনায় আনুমানিক ৫০ জন হামলাকারী নিহত হয়েছে।
নাইজার নদীতে গাও শহর থেকে মোপ্তির দিকে যাওয়ার সময় জঙ্গিরা বেসামরিক নাগরিকদের বহনকারী একটি নৌকায় হামলা চালায় বলে জানা গেছে। পরে গাও অঞ্চলের বুরেম সার্কেলে একটি সেনা ক্যাম্পেও হামলা চালায় জঙ্গিরা।
মালির সেনাবাহিনী সোশ্যাল মিডিয়ায় বলেছে, বেলা ১১টার দিকে সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী নৌকাটিতে আক্রমণ করে। হামলার শিকার নৌকাটি পরিচালনার দায়িত্বে থাকা কোমানাভ বার্তাসংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে, নৌকাটির ইঞ্জিন লক্ষ্য করে অন্তত তিনটি রকেট হামলা চালানো হয়েছে। অন্যদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কোমানাভের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, নৌকাটি নদীতে স্থির অবস্থায় ছিল এবং সেনাবাহিনী যাত্রীদের সরিয়ে নিতে গিয়েছিল।
একটি পৃথক আক্রমণ গাও অঞ্চলের অংশ, বোরেম সার্কেলের পূর্বে একটি সেনা স্থাপনাকে লক্ষ্য করে করা হয়। সশস্ত্র গোষ্ঠীটি সেনা ক্যাম্পে হামলা চালিয়ে ১৫ জন সৈন্যকে হত্যা করে। মালির সেনাবাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধের সময় হামলাকারীদের প্রায় ৫০ জন জঙ্গি মারা গেছে বলে জানা গেছে।
এএফপির খবরে বলা হয়েছে, আল-কায়েদার সঙ্গে সম্পৃক্ত একটি গোষ্ঠী উভয় হামলার কৃতিত্ব দাবি করেছে।
গত এক দশকে মালির মধ্যাঞ্চল, উত্তর বুরকিনা ফাসো এবং পশ্চিম নাইজারের সীমান্ত যেখানে একত্র হয়েছে সেই সাহেল অঞ্চলে আল-কায়েদা এবং আইএসআইএলের (আইএসআইএস) সঙ্গে যুক্ত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সহিংসতা ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়ছে।
এই হামলার ঘটনায় দেশটিতে সরকার তিন দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেছে।