স্বপন কুমার ঢালী, বেতাগী ঃ ইলিশের মৌসুমে পূর্নিমা তিথিতেও উপকূলের বরগুনার বেতাগী বিষখালী নদীতে জেলেদের জালে কম ইলিশ ধরা পড়েছে। ইলিশ সরবরাহ কম হওয়ায় এবং দাম বেশি থাকায় নিম্ন আয়ের মানুষসহ সাধারণরা যথারীতি কিনতে পারছে না।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মধ্য আগস্ট থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত বাংলা শ্রাবণের শেষ সপ্তাহ থেকে কার্তিক মাস পর্যন্ত ইলিশের ভরা মৌসুম। এ মৌসুমে পূর্নিমা তিথিগুলোতে গভীর সমুদ্র থেকে ডিম পাড়ার জন্য ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ নদীতে চলে আসে। এ সময় জেলেদের জালে ধরা পড়ে। সনাতন ধর্মের ডারেক্টরি পঞ্জিকানুসারে গত শনিবার সন্ধ্যা ৭ টা ২ মিনিটে পূর্নিমা শুরু হয়ে রবিবার বিকেল ৫ টা ৫২ মিনিটে শেষ হয়। এবারের এ পূর্নিমা তিথিতে জেলেদের জালে কম ইলিশ ধরা পড়েছে। কিন্তু চাহিদা বেশি থাকায় দাম বেড়েছে।
গত দুই দিনের ব্যবধানে প্রতি মণ গ্রেডের (বড় সাইজের) ইলিশের দাম ১০ হাজার টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। বেতাগী মৎস্য কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেন এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, পূর্ণিমার জো কেটে যাওয়ায় এখন তেমন একটা মাছ পড়ছে না। আবার অমাবস্যা জো এলেই ইলিশ ধরা পড়বে। দু’দিন আগেও ইলিশের দাম কম ছিল। কিন্তু সরবরাহ অপেক্ষা চাহিদা বেশি হওয়ায় এখন ইলিশের দাম বেড়ে গেছে। ‘
গতকাল রবিবার ও আজ সোমবার পৌর শহরের বাজারে ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রাম ওজনের প্রতি কেজি ইলিশের দাম ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। কেজি ওজনের ৯০০ থেকে ১০০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
কারণ হিসেবে জানা গেছে, গত বছরের এসময়ের মতো ইলিশ ধরা পড়ছে না জেলেদের জালে। যার কারণে সরবরাহ অপেক্ষা চাহিদা বেড়ে গেছে।
পৌর শহরের ইলিশ ব্যবসায়ী কমল দাস ও শাহিন হাওলাদার বলেন, গত দুই দিন মোকামে সাগরের ইলিশের আমদানি কমে গেছে। এছাড়া আমাদের বিষখালী নদীতেও কম মাছ ধরা পড়েছে। তাই দাম অনেক বেড়ে গেছে।
উপজেলা মৎস্য সমিতির সভাপতি আব্দুর রব সিকদার বলেন,’ চাহিদার তুলনায় কম মাছ ধরা পড়ায় দাম বেড়েছে। তবে আবার বেশি মাছ ধরা পড়লে দামও কমবে।’
জেলার বৃহৎ মৎস্য কেন্দ্র পাথরঘাটা থেকে আসা কয়েকজন আড়তদার জানান, আগের মতো ইলিশ জালে ধরা পড়ছে না। যার কারণে ইলিশের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। দামও কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। তবে খুব শিগগিরই অনেক ইলিশ ধরা পড়বে। তখন আবার দাম কমে যাবে।
বেতাগী পৌর শহরের ইলিশ মোকামের কয়েকজন আড়তদার জানালেন ইলিশ কম ধরা পড়ায় দাম বেড়েছে।