• ১৮ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ১৯শে জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

বেতাগীতে পাঁচ হাজার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষককে প্রণোদনার সার ও বীজ বিতরণ

বিডিক্রাইম
প্রকাশিত এপ্রিল ২৪, ২০২৫, ১৮:৫৪ অপরাহ্ণ
বেতাগীতে পাঁচ হাজার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষককে প্রণোদনার সার ও বীজ বিতরণ

স্বপন কুমার ঢালী, বেতাগী॥ “কৃষিই সমৃদ্ধি”—এই প্রতিপাদ্যে বেতাগী উপজেলায় অনুষ্ঠিত হলো কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মধ্যে বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ( ২৪ এপ্রিল) বিকেল ৫টায় উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই কর্মসূচি’র আওতায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের খরিপ-১/২০২৫-২৬ রোপা আউশ মৌসুম উপলক্ষে মোট পাঁচ হাজার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ তানজিলা আহমেদ সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তিতা করেন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বশির গাজী, বিশেষ অতিথি সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিপুল সিকদার, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. শাহজামাল এবং ভেটেরিনারি সার্জন ডাঃ মো. ইকবাল মিয়া।

অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত কৃষকরাও সন্তোষ প্রকাশ করেন। প্রনোদনা পেয়ে কৃষকরা বলেন, সরকারি এই সহায়তা তাদের জন্য অনেকটা স্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

দিন দিন চাষাবাদের খরচ বেড়ে যাওয়ায় অনেকেই সমস্যায় পড়েছিলেন, তবে এই বীজ ও সার পেয়ে তারা আবারও নতুন আশায় চাষাবাদ শুরু করতে পারবেন।

এ ধরনের উদ্যোগ প্রান্তিক কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে কৃষিখাতকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি দেশের সার্বিক উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত কর্মকর্তারা।

কৃষি কর্মকর্তা তানজিলা আহমেদ বলেন, “এই প্রণোদনা কর্মসূচির মাধ্যমে কৃষকদের হাতে সরাসরি মানসম্পন্ন বীজ ও সার পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে, যা খরিপ মৌসুমে তাদের উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সহায়ক হবে।” তিনি কৃষকদের এই সুযোগ যথাযথভাবে কাজে লাগানোর আহ্বান জানান।

সহকারি কমিশনার (ভূমি) বিপুল সিকদার বলেন, এই ধরনের সহযোগিতা কৃষকদের মাঝে চাষাবাদের প্রতি উৎসাহ বাড়বে এবং নতুন উদ্যমে তারা মাঠে নামতে প্রস্তুত হবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউএনও মোঃ বশির গাজী বলেন, “সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে কৃষিকে আরও উৎপাদনমুখী এবং টেকসই করা। এই প্রণোদনা কর্মসূচি কৃষকদের স্বাবলম্বী করে তুলবে এবং দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে।