বিডি ক্রাইম ডেস্ক, বরিশাল ॥ শেরপুরে যাত্রীবাহী বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে অটোরিকশাচালকসহ ছয় জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো দুই জন। তার মধ্যে এক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার ভাতশালা জোড়া পাম্প এলাকায় শেরপুর-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন- সদরের কামারিয়া এলাকার মৃত আ. সামাদের ছেলে সিএনজি চালক লোকমান হোসেন (৩৮), সদরের আলিনাপাড়া এলাকার মৃত আবুল কাশেমের ছেলে মোখলেছুর রহমান (৭৮) ও তার স্ত্রী উম্মে কুলসুম (৬৫), কামরুজ্জামান বাবু (২৮), তার ছোট বোন মাইশা তাসলিমা মীম (২২) ও নিনা রাণী বিশ্বাস (৪০)।
এরমধ্যে মাইশা তাসলিমা মীম ও কামরুজ্জামান বাবু ভাইবোন। তারা নকলা উপজেলার গনপদ্দী ইউনিয়নে শাহজাহান মিয়ার সন্তান।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে পুলিশ জানায়, রিফাত পরিবহন নামের একটি যাত্রীবাহী বাস পাশের কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলা থেকে শেরপুর হয়ে ঢাকার দিকে যাচ্ছিলো। অপরদিকে, নকলা উপজেলা থেকে শেরপুরগামী একটি যাত্রীবাহী সিএনজি ভাতশালা ইউনিয়নের জোড়াপাম্প এলাকায় আসলে সিএনজির সামনে একটি কুকুর চলে আসে। কুকুরকে বাঁচাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অটোরিকশাটি বাসের নিচে চলে যায়।
দুর্ঘটনায় সিএনজিটি দুমড়ে-মুচড়ে গেলে সিএনজি চালকসহ ঘটনাস্থলেই পাঁচ জন নিহত হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় দুই জনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে আরো এক জনের মৃত্যু হয়।
দুর্ঘটনার খবরে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে হতাহতদের উদ্ধার করে।
পুলিশ মরদেহ সদর থানায় নিয়ে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে পাঠায়। দুর্ঘটনা কবলিত বাস এবং সিএনজিটি জব্দ করে সদর থানায় নেওয়া হয়েছে।
শেরপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারি পরিচালক জাবেদ হোসেন মুহাম্মদ তারেক জানান, বেপরোয়া গতির কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহগুলো উদ্ধার করে থানায় পাঠিয়েছি।
সদর থানার ওসি জুবায়দুল আলম বলেন, দুর্ঘটনা কবলিত বাস ও সিএনজি জব্দ করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।