মো. সুজন মোল্লা,বানারীপাড়া: বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে এসে নেতা বনে যাওয়া এক ব্যক্তি বিদ্যালয়ের মাঠের একাংশ দখল করে বালুর ব্যবসা করে শিক্ষার ও পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বিভিন্ন সূত্রে জানাগেছে তিনি বর্তমানে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী একজন নেতার আর্শিবাদ পুষ্ট। এমন অভিযোগ সৈয়দকাঠি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মৃধার বিরুদ্ধে। বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি দলীয় মনোনয়নে সৈয়দকাঠি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন।
সাবেক বিএনপি ও বর্তমানে আওয়ামী লীগের চাঁদর জড়ানো এই নেতা আনোয়ার হোসেন মৃধা দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় এসইএসডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠের একাংশ দখল করে বালুর ব্যবসা করছেন।
আর এ কারণে ঝড়-বাতাসে বালু উড়ে ওই বিদ্যালয়ের একদিকে আসভাবপত্র যেমন নষ্ট হচ্ছে তার চেয়েওে বেশি ক্ষতির সম্মুখিনের মুখে পড়েছে পাঠদান ব্যবস্থা।
অপরদিকে শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য মারাত্মক বিপর্যয়ের দিকে পতিত হচ্ছে। এছাড়াও বাতাসে বালু উড়ে পথচারী, স্কুল-সংলগ্ন বসতবাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান সহ জনসাধারণ চলাচলে চরম ভোগান্তির সৃষ্টি হচ্ছে।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিলন কান্ত সরকার প্রেসক্লাবকে জানান, বালু ব্যবসায়ী সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মৃধাকে মাঠ পরিষ্কার করে দেয়ার জন্য বারবার অনুরোধ জানালেও তিনি তাতে কোন প্রকার কর্ণপাত করছেন না।
আনোয়ার হোসেন মৃধার বিষয়ে স্থানীয় কয়েক জনের কাছে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিনি বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগদান করে ওই স্কুল-সংলগ্ন সন্ধ্যা নদীর শাখা কচা নদীর তীরের সরকারি খাস সম্পত্তি দখল করে রাইস মিল নির্মাণসহ ইট, বিভিন্ন ধরনের বালু, খোয়া ও ধান-চালের (কুটিয়ালি) ব্যবসাও করছেন।
এদিকে সৈয়দকাঠি এসইএসডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিলন কান্ত সরকার এ ব্যাপারে গত ২০ মে বানারীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিপন কুমার সাহার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছিলেন।
উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছেও ওই অভিযোগের অনুলিপি দেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ দেওয়ার পর গত চার মাসেও এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে সৈয়দকাঠির সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মৃধা প্রেসক্লাবকে জানান, সরকারিভাবে পাওয়া ভূমিহীনদের সম্পত্তি তিনি ক্রয় করে সেখানে বালুসহ বিভিন্ন ব্যবসা করছেন এবং সেই সম্পত্তির কিছু অংশ ওই স্কুলেও দান করেছেন।
এ প্রসঙ্গে বানারীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিপন কুমার সাহা প্রেসক্লাবকে বলেন, মোবাইল কোর্ট পরিচালনাসহ প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।