• ১২ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ২৭শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ৮ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

বরিশালে ১০ মাস পর শিশু হত্যার রহস্য উদঘাটন

বিডিক্রাইম
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪, ১৯:৫৭ অপরাহ্ণ
বরিশালে ১০ মাস পর শিশু হত্যার রহস্য উদঘাটন

বিডি ক্রাইম ডেস্ক, বরিশাল॥ শিশু জান্নাতের মৃত্যুর ১০ মাস পর জানা গেল মৃত্যুর আসল রহস্য। ময়না তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে জান্নাতের মৃত্যু স্বাভাবিক ছিলো না, হত্যা করা হয়েছে তাকে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।

চলতি মাসের ৫ সেপ্টেম্বর বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানায় মামলাটি করেন এসআই রাহাতুল ইসলাম। মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে শিশু হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।

তবে শিশু হত্যার ঘটনায় তার পরিবারের সঙ্গে পুলিশ যোগাযোগ করলেও পরিবারের মামলা করতে আগ্রহী নয়। তাই পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন। মামলায় কাউকে আসামি করা হয়নি।

নিহত শিশু জান্নাত বরিশাল নগরীর ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে সৎ বাবা রাসেল সরদার ও মা সানজেনা বেগমের সঙ্গে বসবাস করতো। গত বছরের ডিসেম্বরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।

মামলার বাদী কোতয়ালী মডেল থানার এসআই রাহাতুল ইসলাম জানান, ২০২৩ সালের ২ ডিসেম্বর চার বয়সী শিশু জান্নাতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত করে কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ। এক মাস আগে শিশুর ময়না তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেয়েছি।

প্রতিবেদনে শিশুকে হত্যা করার বিষয়টি এসেছে। শিশু হত্যার ঘটনায় তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু কেউ মামলা করতে আগ্রহী নয়। তাই আমি বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলায় কাউকে আসামি করা হয়নি। তদন্ত করা হচ্ছে হত্যাকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে।

জানা গেছে, ২০২৩ সালের ১ ডিসেম্বর চার বছর বয়সী শিশু জান্নাতকে বাথরুমে পড়ে গিয়ে অজ্ঞান হয়েছে জানিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করেন সৎ বাবা রাসেল সরদার ও মা সানজেনা বেগম। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে মারা যায় শিশুটি।

শিশুর মৃত্যু স্বাভাবিক না হওয়ায় কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা হয়। শিশুর লাশের ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ময়না তদন্ত প্রতিবেদনে দেখা গেছে আঘাতের কারণে শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শিশুর শরীরের বিভিন্নস্থানে জখমের চিহ্ন পাওয়া গেছে।

মামলার বাদী এসআই রাহাতুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শিশুর মা ও সৎ বাবাকে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছিলো। কিন্তু তার মা সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা থাকায় পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। শিশু হত্যায় কারা জড়িত ছিল তা বের করতে তদন্ত চলছে।