বিডি ক্রাইম ডেস্ক, বরিশাল॥ বরিশালের মুলাদীতে আত্মগোপন থেকে এলাকায় ফিরেই বিএনপি ও ইসলামী আন্দোলনের দুই কর্মীকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে যুবলীগের ৩ কর্মীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার কাজিরচর ইউনিয়নের দক্ষিণ কাজিরচর গ্রামের রেইন্ট্রিতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, দক্ষিণ কাজিরচর গ্রামের ফয়জদ্দিন হাওলাদারের ছেলে ইসলামী আন্দোলনের কর্মী কবির হোসেন হাওলাদার (৫৪) এবং কালু ব্যাপারীর ছেলে বিএনপি কর্মী ইউনুছ ব্যাপারী (৬৫)। তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে একই গ্রামের সাইফুল ব্যাপারী (৩৫), ইউনুছ ব্যাপারী (৩০) এবং রফিক ব্যাপারী (৪০)। তারা সবাই কাজিরচর ইউনিয়ন যুবলীগের কর্মী এবং গত ৫ আগস্টের পর থেকে তারা আত্মগোপনে ছিলেন বলে জানান আহত ইউনুছ ব্যাপারী।
গত ৪ আগস্ট চায়ের দোকানে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কথা বলার জেরে এ হামলা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন আহতরা। এ ঘটনায় গতকাল বিকালে কবির হোসেন হাওলাদার বাদী হয়ে ৫ জনের বিরুদ্ধে মুলাদী থানায় অভিযোগ করেছেন। মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাকারিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আহত কবির হোসেন হাওলাদার জানান, গত ৪ আগস্ট সন্ধ্যায় রেইন্ট্রিতলা এলাকায় একটি চায়ের দোকানে বসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের গুলি করার বিষয়ে প্রতিবাদ করেন। তখন যুবলীগ কর্মী সাইফুল, ইউনুছ ও রফিকের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। পরে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের পতন হলে ওই যুবলীগ কর্মীরা এলাকা ছেড়ে চলে যায়। একমাসের বেশি সময় আত্মগোপনে থাকার পরে স্থানীয় এক বিএনপি নেতার ছত্রছায়ায় ৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় এলাকায় ফেরেন তারা।
রোববার কাজে যাওয়ার সময় কবিরের পথরোধ করে মারধর শুরু করেন যুবলীগ কর্মীরা। ওই সময় ইউনুছ ব্যাপারী তাকে রক্ষা করতে গেলে তাকেও পিটিয়ে আহত করা হয়। পরে আহতদের চিৎকারে পার্শ্ববর্তী লোকজন তাদের উদ্ধার করে মুলাদী হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে যুবলীগ কর্মী সাইফুল ব্যাপারী বলেন, প্রায় একমাস পর এলাকায় ফেরার পরে কবির হাওলাদার কটূক্তি করায় তার সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। হামলা কিংবা তাকে আহত করা হয়নি।
মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাকারিয়া বলেন, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।